| ব্যাপন ডেস্ক |

১। গলে যাচ্ছে অ্যান্টার্কটিকার হিমবাহ 

1

আচ্ছা বল তো, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নাম ‘অ্যান্টার্কটিকা’ কেন হলো? আসলে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের মেরু এলাকাকে বলে আর্কটিক। এর বিপরীত হল অ্যান্টার্কটিক। আর সেখান থেকেই অ্যান্টার্কটিকা। উত্তর মেরু এলাকার নাম কেন আর্কটিক হলো তা বলার এখন সময় নেই, কেননা আগে সংবাদ ব্যাপিত করতে হবে। তো অ্যান্টার্কটিকার কোন খবর আছে নাকি?

হ্যাঁ, আছে। তবে খবরের আগে যোগ করতে ‘দুঃ’ নামক বিশেষণ।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মহাসাগরের উষ্ণ পানির কারণে গলে যাচ্ছে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহ টটেন গ্ল্যাসিয়ার। টটেন গ্ল্যাসিয়ারের উচ্চতা ২০ ফুট (৬ মিটার)। এটি লম্বায় ১২০ কিলোমিটার ও প্রস্থে ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি।

ভ্রমণ ফেরত বিজ্ঞানী দলের স্টিভ রিনটল জানান, আমরা হিমবাহটির সামনের দিকের তাপমাত্রা পরিমাপ করেছি। এই তাপমাত্রা হিমবাহ গলানোর জন্য যথেষ্ট। হিমবাহটির কাছে উষ্ণ স্রোতের ধারা পৌঁছানোর অর্থ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।

তিনি বলেন, হিমবাহটি যে রাতারাতি গলে যাবে ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ছয় মিটার বেড়ে যাবে তা নয়। তবে সমুদ্রের তাপমাত্রার পরিবর্তন বরফস্তুপের ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে তার জন্য গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, পূর্ব অ্যান্টার্কটিকা যতটা সুরক্ষিত বলে আমরা চিন্তা করছি সেটি আসলে ততটা সুরক্ষিত নয়।

গত ২১ বছরের তথ্যের ভিত্তিতে গত মাসে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকার যেসব অঞ্চলে দ্রুত বরফ গলছে, সেখানে গত এক দশকে বরফ গলার মাত্রা তিনগুণ বেড়েছে।

২। বাতি জ্বলবে-নিভবে নিজে নিজেই

অনেক সময়ই তো আমরা মনের ভুলে বাসার ফ্যান, লাইট চালু রেখে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি বা অফিসে চলে যাই। এতে কত মূল্যবান বিদ্যুৎ অপচয় হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মত দেশে যেখানে বিদ্যুতের অভাব সেখানে এরকম অপচয় কোনভাবেই মানা যায়না।

অপচয়ের দিন শেষ, অটোম্যাটিক বাংলাদেশ। হ্যাঁ, সত্যি! বাসা থেকে বের হয়েছো তো সাথে সাথে লাইট, ফ্যান নিজেই অফ। বাসায় ফিরলেই আবার অনুগত চাকরের মত নিজেই চালু। শুধু বাসা নয়, অফিস বা কনফারেন্স রুমেও ব্যবহার করা যাবে এই প্রযুক্তি। কিন্তু কিভাবে?

এ জন্যে সাধারণ সুইচ বক্সের পাশে লাগাতে হবে জ্বালানি সাশ্রয়ী সুইচ বক্সটা। ঘরের ফ্যান, এসি, লাইট, টেলিভিশন, কম্পিউটারসহ অন্যসব ইলেক্ট্রনিক্স জিনিসে এটা ব্যবহার করা যাবে। ঘর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এনার্জি সেভিং সুইচ বক্স সবকিছু নিজেই বন্ধ করে দেবে। যতক্ষণ না আবার ঘরে কেউ ফিরে আসছো ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ক্ষতি না করেই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অবস্থায় থাকবে।

এর উদ্ভাবক বাংলাদেশেরই মোঃ ফিরোজ শিকদার। তিনি বলেন, এই সুইচ বক্সটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট স্থানে সেন্সর সুইচ বসিয়ে দিলে সে নিজেই এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। শুধু সময় নিদিষ্ট করে দিতে হবে। তাহলে নিদিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলবে আর বন্ধ হবে। একটি যন্ত্র দিয়ে ত্রিশটি লাইট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি লাইট এক যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ঘরের লাইট, ফ্যান, টেলিভিশনের জন্য এ সুইচ কিনতে প্রায় আটশ’ টাকা প্রয়োজন হবে।  রাস্তায় বাতির জন্য টিউব লাইট হলে প্রতিটির দাম ১০০ টাকা এবং সোডিয়াম লাইট হলে ১৫০ টাকা লাগবে। লাইট, ফ্যান, এয়ার কন্ডিশন, কম্পিউটার হলে প্রায় দুই হাজার পাঁচশ’ টাকা লাগবে।

৩। মহাকাশে আবাসনের আরেক ধাপ অগ্রগতি

2

তবে কি এক সময় নীল গ্রহ পৃথিবী ছেড়ে মানুষ আবাস বানাবে চাঁদে, মঙ্গলে বা আরো দূরে সৌরজগতের বাইরে? এত দূর এখন বলা না গেলেও আপাতত চাঁদে থাকার বন্দোবস্ত হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, হাওয়া ভরা সাময়িক বাসস্থান তৈরির ব্যবসা করছে মার্কিন বাণিজ্য সংস্থা ‘বিগেলো এয়ারোস্পেস’। সম্প্রতি উপগ্রহে ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিতে বাণিজ্য সংস্থাদের প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে ওবামা প্রশাসন। চাঁদে এই ধরনের হাওয়া ভর্তি তাঁবু পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ওই সংস্থার। চলতি বছরে এই রকম একটি তাঁবু পরীক্ষামূলকভাবে মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে। ভবিষ্যতে মহাকাশ পর্যটনে গিয়ে এই তাঁবুতে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। এখানে সাফল্য পেলে সরাসরি চাঁদের বুকে তাঁবু গাড়ার স্বপ্ন দেখছে বিগেলো। সম্ভবত ২০২৫ সাল নাগাদ চাঁদের বুকে তাঁবুতে ছুটি কাটাতে পারবেন মহাকাশ পর্যটকরা।