।মোঃ শফিকুল ইসলাম

(পর্ব-৪)

বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংবরণ করতে হবে দাদারা! কারণ এ বিয়ে খেতে হলে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হবে তাও আবার মহাশূন্যে। হুম, বলছি দুই চিরশত্রু সোভিয়েত আর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণায় মিলন আর তাদের যুক্ত প্রজেক্ট অ্যাপোলো-সয়ুজের (Apollo-Soyuz) কথা। এই মিলিত প্রজেক্টকে মহাকাশে ঘর বাঁধার মিলনমেলা বলা হয়।

পরিকল্পনা ছিল এরকম। সোভিয়েত ইউনিয়ন কাজাখস্থান থেকে সয়ুজ নামক মহাকশযানটি উৎক্ষেপণ করবে। ঠিক একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে অ্যাপোলো উৎক্ষেপণ করবে। এরপর এরা উভয়ে ভুপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার উপরে একে অপরের সাথে মিলিত হবে।

এরপর মার্কিন মহাকাশচারীরা সোভিয়েত মহাকাশচারীদের যানে প্রবেশ করবে এবং তারা উভয় যানে বিচরণ করে মিলিতভাবে গবেষণা চালাবে। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এই উল্লেখযোগ্য এবং গুরত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালে।

এর আগে ১৯৭২ সালের মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন এবং সোভিয়েত প্রিমিয়ার (রাষ্ট্রপ্রধান) আলেক্সেই কোসাইগিন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যা অ্যাপোলো-সয়ুজের পথ সুগম করে। আমরা মার্কিন-সোভিয়েত স্নায়ুযুদ্ধের কথা জানি, কিন্তু এর পেছনের কারণ কী ছিল?

এই দুটো দেশ কখনো সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু তারপরও কেন এত শত্রুতা? বলাই বাহুল্য, ব্রিটিশদের পর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বে দুনিয়ার নেতৃত্ব সোভিয়েতের হাতে ছিল। উনিশ শতকের শুরুর দিকে জোসেফ স্ট্যালিনের হাত ধরে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের জন্ম হয়। এরপর একে একে পার্শ্ববর্তী শহরগুলোকে স্বেচ্ছায় বা জোরপূর্বক সোভিয়েতের অধীনে এনে বিশাল ভূখণ্ডের মালিক হয় সোভিয়েত।

১৯৯১ সালের ২৬ ডিসেম্বর সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ভাঙ্গার পূর্ব পর্যন্ত বিশাল ভূমি এবং পারমাণবিক শক্তির মালিক সোভিয়েতকে সরাসরি মোকাবিলা করার মত সামর্থ্য কারো ছিলো না। যাইহোক, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ভেঙ্গে ১২ টি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয় যার মধ্যে রাশিয়া অন্যতম।

সোভিয়েত কেন ভেঙ্গেছিল সেটা না হয় আরেকদিন লিখবো। তবে সমাজতন্ত্র যেরকম চমক লাগিয়ে দাদাগিরি শুরু করেছিল ঠিক তেমনি আচমকাই বিদায় নিয়েছে বলা চলে। ফিরে আসি মার্কিন-সোভিয়েতের দ্বন্দের কারণ নিয়ে।

প্রথম ও দ্বিতীয় উভয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন ও সোভিয়েত ছিল বিপরীত শিবিরে। একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এরপর কোরিয়ান যুদ্ধ এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধেও একে অপরের বিপক্ষে ছিল। দুই দেশের সরকার ব্যবস্থা ছিল বিপরীতধর্মী। মার্কিনরা গণতন্ত্রপন্থী এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক। উভয়েরই ছিল শক্তিশালী সমর্থক রাষ্ট্রপুঞ্জ। উভয়ই ছিল আধিপত্যবাদী তাই আধিপত্য বিস্তারে একে অপরের সাথে দ্বন্দ ছিল শতাব্দী জুড়ে।

যাই হোক, চালো আবার অ্যাপোলো-সয়ুজের কাহিনীতে আসি। ১৯৭৫ সালের ১৫ জুলাই সাড়ে সাত ঘন্টার ব্যবধানে পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপিত হয় অ্যাপোলো আর সয়ুজ। এর দুই দিন পর অর্থাৎ ১৭ জুলাই তারা একে অপরের সাথে যুক্ত হয়।

তবে তাদের একে অপরের সাথে মিলিত হওয়াও একেবারে নির্ঝঞ্ঝাট ছিলো না। অ্যাপোলো এবং সয়ুজ নির্মিত হয়েছিল সোভিয়েত আমেরিকার মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের সময়। আর সে কারণেই তাদের নির্মাণ কৌশল ছিল একে অপরের কাছে অত্যন্ত গোপন।

তাই যখন অ্যাপোলো আর সয়ুজের একত্রিত হবার সময় এলো তখন দেখা গেল দুই যানে ভেতরের বায়ুর চাপ আলাদা। সয়ুজের ভেতরের বায়ুর তাপ ভূপৃষ্ঠে বায়ুর চাপের সমান হলেও অ্যাপোলোর ভেতরে বায়ুচাপ কিছুটা কম।

এজন্য যদি দুটি যান একত্র করা হয় আর একটার বাতাস আরেকটার মধ্যে প্রবেশ করে তাহলে সয়ুজের নভোচারীরা এই বায়ুচাপের পরিবর্তনে শ্বাসক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারে। এটা মূলত বায়ুচাপের পরিবর্তনের ফলে রক্তে নাইট্রোজেনের বুদ বুদ তৈরি হওয়ার কারণে ঘটে। পানির গভীরে যাওয়া ডুবুরীদের ক্ষেত্রেও এটি ঘটে।

সমস্যা যাই হোক তার একটা সমাধান বের করাই তো বিজ্ঞানের কাজ নাকি? হুম, তাই। তো এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা করলো কি দুই মহাকাশযানের মাঝামাঝি একটা চেম্বার স্থাপন করলো যেখানে প্রথমে অ্যাপোলোর ক্রুরা এসে তিন ঘন্টা অবস্থা করবে।

এই সময়ে তারা সয়ুজের বায়ুচাপে নিজেদের অভ্যস্ত করে নিবে। এরপর তারা সয়ুজের মধ্যে প্রবেশ করে সোভিয়েত নভোচারীদের সঙ্গে ইতিহাস বিখ্যাত একটি হ্যান্ডশেক করবে। এই হ্যান্ডশেকই ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

অন্যথায় যদি মার্কিন-সোভিয়েত দ্বন্দ আকাশসীমায় চালু থাকতো তাহলে হয়তোবা আজকের আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের মুখ আমরা দেখতে পেতাম না।

চিত্র-১: বামপাশে অ্যাপোলো আর ডানপাশে সয়ুজ, মাঝখানে বায়ু চেম্বার, নিচে পৃথিবী আর ঐ দূরে চাঁদ মামা

মহাকাশে মিলন তো হল এবার তবে ঘরবাঁধা শুরু। হুম ঘরবাঁধার জন্য তবে আর কি লাগবে? হুম ঘর বাঁধতে হলে তো আগে ঘর লাগবে, তাই না? অ্যাপোলো সয়ুজের মিলন মহাকাশে ঘরবাঁধার প্রথম ধাপ হলেও এই দুই মহাকাশযান ছিল আকারে অনেক ছোট এবং তাদের মিশন ছিল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য।

কিন্তু ওখানে স্থায়ীভাবে থাকতে হলে আরো অনেক বড় মহাকাশযান দরকার যেটা একসাথে অনেকগুলো নভোচারীকে তাদের প্রয়োজনীয় রসদ এবং গবেষণার যন্ত্রপাতি সহ ধারণ করতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হল এত বৃহৎ আকারের যান মহাশুন্যে কীভাবে পাঠানো যাবে? যেখানে ছোটখাট যান পাঠাতেই হিমশিম খেতে হয়!

বলাই বাহুল্য মহাশূন্যে এত বৃহদাকার কোন কিছু একবারে পাঠানো সম্ভব নয়। তাহলে উপায় কি? উপায় আছে, তা হল অল্প অল্প করে বারে বারে লোহা-লক্কড় পাঠিয়ে এরপর মিস্ত্রী দিয়ে তা জোড়া দেয়া। সমস্যা হল মহাশূন্যে বসে এসব জোড়া দেয়ার মত মিস্ত্রী পাবো কোথায়?

হুম, এই সমস্যা সমাধানের লক্ষে এগিয়ে এলেন মির সাহেব। না না মিরজাফরের কথা বলছি না। বলছি সোভিয়েত স্পেস ষ্টেশন মির (MIR) এর কথা।

চিত্র-২: প্রথম স্পেস ষ্টেশন- মির (MIR)

অ্যাপোলো-সয়ুজ যৌথ প্রজেক্টে মহাকাশে মানুষের অবস্থানের বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণা হয় যা ভবিষ্যতে সেখানে মানুষের স্থায়ী অবস্থানের নিশ্চয়তা প্রদান করে। এরই ফলশ্রুতিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৮৬ সালে সর্বপ্রথম মির নামের এই স্পেস ষ্টেশন মহাকাশে স্থাপন করে।

এটি একটানা তিন হাজার ছয়শো চুয়াল্লিশ দিন অর্থাৎ প্রায় পনেরো বছর মহাশূন্যে অবস্থান করে যা এর আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। আর মিরের একজন নভোচারী ভ্যালেরি পোলিয়াকোভ একটানা চারশত সাইত্রিশ দিন ১৮ ঘন্টা অর্থাৎ প্রায় এক বছর দুই মাস মহাশূন্যে অবস্থান করে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যা আজ পর্যন্ত কেউ টপকাতে পারেনি।

মেডিক্যাল ডাক্তার ভ্যালেরি পোলিয়াকোভের বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট মহাকাশে অবস্থান প্রায় দুই বছরের মত। এককভাবে টানা এত লম্বা সময় বা সর্বমোট অবস্থানকাল বিবেচনায় এখন পর্যন্ত ভ্যালেরি পোলিয়াকোভই প্রথম এবং শেষ ব্যক্তি।

চিত্র-৩: ভ্যালেরি পোলিয়াকোভ

মিরের আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যখন একটি দৈত্যাকার রকেটের মাধ্যমে এর প্রথম মডিউল মহাকাশে প্রেরণ করা হয়। মিরের সর্বমোট ওজন প্রায় ১৩০ টন (১,২৯,৭০০ কেজি)। আগেই বলেছি এই বিশাল ওজনের স্পেস ষ্টেশন একবারে মহাশূন্যে পাঠানো প্রায় অসম্ভব।

এজন্য আলাদা আলাদা মডিউলে প্রায় সাতবারে এর সম্পূর্ণ অংশ প্রেরণ করা হয়। তারপর মহাকাশ মিস্ত্রীদের (স্পেস ওয়াকার বলে) জোড়া দেওয়ার পালা আসে। কথা হলো এই ভয়ংকর পরিবেশে কীভাবে কাজ করা যাবে? ভয়ংকর? আসলে ছবিতে মহাশূন্য দেখতে কি ভালো লাগে তাই না? কিন্তু বাস্তবে আসল পরিবেশ কেমন?

হুম, ওখানকার তাপমাত্রা দিনে ২৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে রাতে -২৭৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। অর্থাৎ দিনে ছাই-ভস্ম আর রাতে জমে বরফে পরিণত হবার ভয় আছে। এরকম চরম পরিবেশ মোকাবিলা করার জন্য বিজ্ঞানীরা একধরনের স্পেসস্যুট তৈরি করলো।

যার মধ্যে অনেক লম্বা প্যাঁচানো নল দিয়ে ঠাণ্ডা পানি প্রবাহিত হয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে। ব্যাপারটা বিভ্রান্তিকর মনে হলে কিছু সময় অনলাইন সার্চ করলে পেয়ে যাবে। তো স্পেস ওয়াকারের স্পেসস্যুটের মধ্যে পানি চলাচল, অক্সিজেন এবং তড়িৎ প্রবাহ পরিচালনার জন্য মূল স্পেস স্টেশন থেকে নল সংযোগ করা হয়।

কিন্তু এতে দুটো সমস্যা দেখা গেল- প্রথমত, এই নলের দৈর্ঘ্য অনেক বেশি না হলে পুরো স্পেস ষ্টেশন জুড়ে কাজ করা সম্ভব নয়। আর দ্বিতীয়ত, এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক হল নলটি যদি কোন ভাবে স্পেস স্টেশনের কোন অংশের সাথে প্যাঁচ লেগে টান পরে যায় এবং বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে আর স্পেস ওয়াকারকে বাঁচানো সম্ভব নয়।

এ সমস্যা সমাধানের জন্য হিটিং/কুলিং লিকুইড, ব্যাটারি এবং অক্সিজেনসহ একটি ব্যাকপ্যাক স্পেস ওয়াকারের পেছনে লাগিয়ে দেয়া হয় ফলে নলের আর কোন প্রয়োজন হয় না। আর সবকিছু অতিরিক্ত এক সেট করে দিয়ে দেয়া হয় যাতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকে।

আর নভোচারীদের মাথায় গোল পাতিলের মত অনেক বড় হেলেমেট থাকায় মাথা নিচের দিকে ঘুরানো যায় না। ফলে বুকে থাকা কন্ট্রোল ক্যাবিনেট দেখা যায় না। এজন্য তাদের হাতে একটি আয়না সেট করে দেয়া হয় যাতে করে আয়নায় বিম্ব দেখে জানতে পারে রসদ শেষের দিকে যাচ্ছে কি না।

এভাবে সকল প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে চলে স্পেস ষ্টেশন জোড়া দেয়ার কাজ। তোমরা কি ধারণা করতে পারো মির স্পেস স্টেশনটি সম্পূর্ণ তৈরি করতে কত দিন লেগেছিল? এক সপ্তাহ, এক মাস অথবা এক বছর? উঁহু, মির পরিপূর্ণরুপে স্থাপন করতে প্রায় দশ বছর লেগেছিল।

চিত্র-৪: স্পেস ওয়াকার

মির শুরুতে সোভিয়েত রাশিয়ার একক উদ্যোগে হলেও তা আর একক প্রজেক্ট থাকেনি। আস্তে আস্তে অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণে তা একটি আন্তর্জাতিক প্রজেক্টে পরিণত হয়। সিরিয়া, বুলগেরিয়া, আফগানিস্তান, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশের এক বা একাধিক নভোচারী মির স্পেস স্টেশনে অবতরণ করেন এবং গবেষণা কার্যে অংশগ্রহণ করেন।

মির প্রজেক্টে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ৪.২ বিলিয়ন ইউএস ডলার (টাকার অংকে তোমরা হিসেব করে নিও)। এক দেশের পক্ষে এই বিপুল খরচ যোগান দেয়া আসলেই অনেক কঠিন ব্যাপার। আর তাইতো সোভিয়েত-রাশিয়াকে মির-২ প্রজেক্ট থামিয়ে দিতে হয়েছিল।

সোভিয়েত ভাঙন, অর্থনৈতিক মন্দা, আন্তর্জাতিক ফান্ডের অভাব ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে মির স্পেস ষ্টেশনকে ২০০১ সালের মার্চ মাসে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। আর সোভিয়েতের পরিকল্পিত মির-২ প্রজেক্ট অনেকাংশে বাতিল করে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে শাটল-মির প্রজেক্ট শুরু হয় যা ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের প্রথম ধাপ।

আগামী পর্বে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিস্তারিত নিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০১৯। বর্ষ ৪। সংখ্যা ৫

চিনে রাখি অসুখগুলি

শুন্যে আমি

চুম্বকত্বের আদ্যপান্ত

অগ্রগতির যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান

মস্তিষ্ক দখল

অনুভূতির রহস্যে!

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

কার্বন ডেটিংয়ের জাদু

চিনে রাখি অসুখগুলি

মস্তিষ্ক দখল

পরমাণু থেকে কণার জগতে

সিন্ধুতীরের মুক্তার কথা

ধূমকেতুর গল্প

মহাশুন্যে বসবাস

মহাশূন্যে বসবাস

লেজার রশ্মির গল্প

মাইনাস ওয়ান বিড়ম্বনা!

ব্লাড গ্রুপিং বৃত্তান্ত

ব্ল্যাক বক্স কীভাবে কাজ করে?

সুপার হাইওয়ে

পিথাগোরাসের ত্রয়ী

রোজার উপকারিতা

মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ

উইন্ড টারবাইনের গল্প

মস্তিষ্ক দখল