মহাকাশ
মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপ... আরো পড়ুন মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপর অন্য জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার এক অঘোষিত লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। বিশে... আরো পড়ুন মহাকাশ গবেষণা কেবলমাত্র মানুষের বৈজ্ঞানিক উন্নতির নিদর্শন ছিল না বরং একজাতির উপর অন্য জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার এক অঘোষিত লড়াইয়ে পরিণত হয়েছিল। বিশেষ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা আর সোভিয়েত-ইউনিয়নের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ (Cold War) শুরু হয় তার অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল মহাকাশ জয়ের প্রতিযোগিতা। ১৯৫৭ সালে মনুষ্যবিহীন (Unmanned) প্রথম মহাকাশযান স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপন করে সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যায় বর্তমান রাশিয়া(তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন)। প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশ ভ্রমন করেন ইউরি গ্যাগারিন ১৯৬১ সালে। অখ্যাত এই প্রকৌশলী রাতারাতি সোভিয়েত-ইউনিয়নের জাতীয় বীর-এ পরিণত হলেন। পুরো প্রক্রিয়াটির পেছনে যিনি মূল কারিগর ছিলেন সেই সের্গেই কোলোরেভ জীবদ্দশায় কোন কৃতিত্ব পাননি। ১৯৬৬ সালে কোলারভের মৃত্যুর পর তার নাম প্রথম প্রকাশ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। কেননা চল্লিশের দশকে কথিত দেশদ্রোহিতার অভিযোগে কোলোরেভ সাজাপ্রাপ্ত... আরো পড়ুন
ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী... আরো পড়ুন ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী সম্পর্ক? আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে ব্ল্যাকহোলের কোন সম্পর্ক... আরো পড়ুন ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী সম্পর্ক? আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে ব্ল্যাকহোলের কোন সম্পর্ক আছে কি? ব্ল্যাকহোলকি টাইম ট্র্যাভেল ঘটাতে পারে? ওয়ার্মহোলের সাথে ব্ল্যাকহোলের সম্পর্ক কোন দিক দিয়ে? আলোর মতো এমন গতিমান জিনিস কিভাবে ব্ল্যাকহোলের গর্তে আটকা পড়ে? ব্ল্যাকহোল নিয়ে এমন আরো নানান কিছু জানতে ব্যাপনের ধারাবাহিক রচনা ‘ব্ল্যাকহোলের গভীরে’। স্বাগত তোমাদেরকে। আজকে চলো প্রাথমিক পরিচিতি সেরে নিই মহাকাশের মহাদানব এই ব্ল্যাকহোল তথা কৃষ্ণগহ্বরের সাথে। তোমার নিশ্চয়ই ক্রিকেট খেলার বা দেখার অভ্যাস আছে, তাই না? নিশ্চয়ই আছে ছক্কা মারারও অভ্যাস। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাটসম্যানের বেধড়ক পিটুনি খেয়ে বেচারা বল অনেক উপরে উঠে যায়। কিন্তু অভিকর্ষ সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় কথা প্রচলিত আছে- What goes up must come down। অর্থাৎ, উপরে যে উঠবে, নিচেও তাকে নামতেই হব... আরো পড়ুন
গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, ক... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, কিভাবে জন্ম নেয় এই দানবেরা। ব্ল্যাকহোল আবার আছে তিন রকমের- স্টেলার বা ন... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, কিভাবে জন্ম নেয় এই দানবেরা। ব্ল্যাকহোল আবার আছে তিন রকমের- স্টেলার বা নাক্ষত্রিক (Steller), Supermassive বা অতি ভারী ও খুবই ছোট্ট আকারের মাইক্রো বা মিনিয়েচার ব্ল্যাকহোল (Miniature Black Hole)। আজকে আমরা মূলত প্রথম ধরনের তথা স্টেলার ব্ল্যাকহোল নিয়েই জানবো। এদের জন্ম হয় একটি নক্ষত্রের জীবনের শেষের দিকে, যখন এর সবটুকু জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে যায়। এই ধরনের ব্ল্যাকহোল যেহেতু একটি নক্ষত্রের জীবনের অন্তিম দশা, তাই এর জন্মলাভের উপায় জানতে হলে নক্ষত্রের জীবনচক্র বুঝতে হবে। আমাদের তাহলে বুঝতে হবে একটি নক্ষত্রের জন্ম হয় কিভাবে। জন্মের পরে এর মধ্যে কী ঘটতে থাকে? কিভাবে এটি আলো, তাপ ও বিকিরণের মাধ্যমে এর শক্তির বহিঃপ্রকাশ করে হুঙ্কার ছাড়ে, কিভাবে এটি আস্তে আস্তে বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং মারা যায়। আরো পড়ুন
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতে... আরো পড়ুন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের (Cold War) সময়। ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে য... আরো পড়ুন ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের আনঅফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েতের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধের (Cold War) সময়। ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মহাকাশ যুদ্ধে প্রথমবারের মত সোভিয়েতকে পেছনে ফেলতে সমর্থ হয়। কিন্তু সোভিয়েতও দমে যাবার পাত্র নয়। তারা আর দ্বিতীয়বার হারার জন্য প্রস্তুত নয়। এজন্যই তারা মহাকশে সবচেয়ে বেশি সময় বিচরণ করার রেকর্ড গড়তে ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল সর্বপ্রথম ‘সালিউট-১ (Slayut-1)’ নামক সর্বপ্রথম স্পেস স্টেশন পাঠায় মহাকাশে। মহাকশে লম্বা সময় বিচরণ এবং মিলিটারি সার্ভেইল্যান্সের পাশাপাশি মহাশূন্যে মানুষের শরীর খাপ খাওয়ানো ছিল সালিউটের অন্যতম মিশন। মহাকাশে অবতরণ এবং বিচরণের জন্য প্রথম যে বাধা সালিউটকে অতিক্রম করতে হয় তা হল- পৃথিবীর আকর্ষণ বল উপেক্ষা করে তার কক্ষপথে বিচরণ করা। সালিউটের পরিকল্পনা ছিল তিনজন ক্রু নিয়ে তিন সপ্তাহ মহাশূন্যে বিচরণ করা। আরো পড়ুন
প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখ... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখনো খালি চোখে, কখনো দূরবীন, কখনো বা টেলিস্কোপ দিয়ে নানান তথ্য উদ্ঘাটনে... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা, মহাকাশ নিয়ে আমাদের আকর্ষণের কোন কমতি নেই সেই প্রাচীনকাল থেকেই। কখনো খালি চোখে, কখনো দূরবীন, কখনো বা টেলিস্কোপ দিয়ে নানান তথ্য উদ্ঘাটনে মহাকাশকে তন্নতন্ন খুঁজে ফিরেছে নামজাদা বিজ্ঞানীসহ অনেক সাধারণ মানুষও। এখন এতো এতো গবেষণার তথ্য উপাত্তের ভীড়ে আমাদের মনে হুট করে প্রশ্ন জাগতে পারে, পৃথিবী তো ৭১ শতাংশ পানিতে নিমজ্জিত, তাহলে কি মহাকাশে কোন পানি নেই? থাকলেই বা তা কতটুকু? কোথায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি পানি? এই প্রশ্নগুলো গুছিয়ে দিতে এসো আজ দেখে নেয়া যাক- মহাকাশে পানির পরিমাণ কতটুকু এবং কোথায় বা সবচেয়ে বেশি পানি রয়েছে? আমরা সকলেই জানি যে, প্রাচুর্যতায় ভরপুর আমাদের এই পৃথিবী ছাড়া বিশ্বজগতের অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব এখন অবধি প্রমাণিত হয়নি। কোথায় প্রাণের বিকাশের পূর্বশর্ত হিসেবে সেখানে পানির উপস্থিতি থাকা বাঞ্ছনীয়। যার স্বয়ংসম্পূর্ণতা আমাদের এই পৃথিবীতে রয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জা... আরো পড়ুন
তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এ... আরো পড়ুন তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এমনকি মেঘ থেকেও অনেক উপরে অবস্থিত। আজকে আর একটু এগিয়ে পৃথিবীর সীমানার ব... আরো পড়ুন তোমাদেরকে আগে আকাশে বসবাসের কথা বলেছি। এমন কিছু স্থাপনার কথা বলেছি যেগুলো ভূমি এমনকি মেঘ থেকেও অনেক উপরে অবস্থিত। আজকে আর একটু এগিয়ে পৃথিবীর সীমানার বাইরে মহাশুন্যে বসবাসের কথা বলবো। তোমরা হয়তো অবাক হয়ে ভাবছো, পৃথিবীর বাইরেও কি বসবাস করা সম্ভব? হুম, সম্ভব। আর সেটা আজকে নয় বরং আরো পঞ্চাশ বছর আগে থেকেই সম্ভব। এবং কিছু মানুষ আমাদের সবার অগোচরে মহাশূন্যে বসবাস করছে। আকাশে মানুষ নির্মিত সব থেকে বড় স্থাপনা হল- ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (ISS), যা পৃথিবীর নিকট দূরত্বে থেকে ক্রমাগত পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে প্রতিদিন ষোল বার করে আমাদের মাথা থেকে সাড়ে তিনশো কিলোমিটার উপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবীর বাইরে এবং মহাশুন্যে এটাকেই এ পর্যন্ত মানুষের দ্বিতীয় আবাসস্থল বলা যায় যেখানে দশজন ক্রু সবসময় অবস্থান করে যাচ্ছে। আরো পড়ুন
ছোট ম্যাজেলানিক ক্লাউড (SMC) গ্যালাক্সিটিকে সবচেয়ে সহজে চোখে পড়ে দক্ষিণ গোলার্ধে... আরো পড়ুন ছোট ম্যাজেলানিক ক্লাউড (SMC) গ্যালাক্সিটিকে সবচেয়ে সহজে চোখে পড়ে দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ থেকে। এটি এর বড় ভাই লার্জ ম্যাজেলানিক ক্লাউড থেকেও দক্ষিণে অবস্... আরো পড়ুন ছোট ম্যাজেলানিক ক্লাউড (SMC) গ্যালাক্সিটিকে সবচেয়ে সহজে চোখে পড়ে দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ থেকে। এটি এর বড় ভাই লার্জ ম্যাজেলানিক ক্লাউড থেকেও দক্ষিণে অবস্থিত। দুজনেই আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বাইরে অবস্থিত হলেও দুজনেই মিল্কিওয়ের স্যাটেলাইট গ্যালাক্সি অর্থাৎ, এরা মিল্কিওয়েকে প্রদক্ষিণ করছে।১৭ ডিগ্রি উত্তর গোলার্ধ থেকে এদের কোনোটাকেই চোখে পড়ে না। অর্থাৎ, উত্তর আমেরিকা,উত্তর আফ্রিকা, সমগ্র ইউরোপ এবং এশিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ থেকে (ভারতের দক্ষিণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ছাড়া) এদেরকে দেখা যাবে না। শরতের শেষ এবং শীতের শুরুতে (অক্টোবরে শেষ রাতে, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে রাতের প্রথম প্রহরে এবং জানুয়ারিতে সন্ধ্যার পরপরই) ছোট ম্যাজেলানিক ক্লাউডকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। যখন ইংরেজি W বা M (অবস্থানভেদে) অক্ষরের মত আকৃতির ক্যাসিওপিয়া তারামণ্ডলী রাতের উত্তর আকাশের চূড়ায় উঠবে তখনই দক্ষিণ আকাশের চূড়ায় দেখা যাব... আরো পড়ুন
প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছো? গত সংখ্যায় আমরা কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলা... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছো? গত সংখ্যায় আমরা কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। আমাদের জন্য খুশির খবর হলো এই লেখা যখন তোমরা পড়বে তখন বাংলাদেশের প্র... আরো পড়ুন প্রিয় বন্ধুরা কেমন আছো? গত সংখ্যায় আমরা কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। আমাদের জন্য খুশির খবর হলো এই লেখা যখন তোমরা পড়বে তখন বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে থাকার কথা। আসবো সে কথায়। তবে তার আগে চলো আজ আরও কিছু বিষয় জেনে নিই। কৃত্রিম উপগ্রহ এমনভাবে পৃথিবীর চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান হয়, যাতে এর গতির সেন্ট্রিফিউগাল বা বহির্মুখী বেগ একে বাইরের দিকে গতি প্রদান করে - কিন্তু পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি একে পৃথিবীর আওতার বাইরে যেতে দেয় না। উভয় শক্তি কৃত্রিম উপগ্রহকে ভারসাম্য প্রদান করে এবং কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীর চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। যেহেতু মহাকাশে বায়ুর অস্তিত্ব নেই তাই এটি বাধাহীনভাবে পরিক্রমণ করে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলো বৃত্তাকারে পরিক্রমণ করে না, এর গতি উপবৃত্তাকার। আরো পড়ুন
মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে... আরো পড়ুন মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে ভাবা হত মহাকাশে যাওয়াই কঠিন। একবারে যেতে পারলে আর সমস্যা নেই। কারণ হিস... আরো পড়ুন মহাকাশে যান পাঠানো কঠিন নাকি ওখানে অবস্থান করা কঠিন? আসলে মাহাকাশে যাবার পূর্বে ভাবা হত মহাকাশে যাওয়াই কঠিন। একবারে যেতে পারলে আর সমস্যা নেই। কারণ হিসেবে ধরা হত মহাশূন্যের ‘জিরো গ্র্যাভিটি’ বা ওজনহীনতাকে। মানে মহাশূন্যে কোন বায়ু না থাকায় আর মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বল কাজ না করায় সেখানে বস্তু ওজনহীন হয়ে যায়। ফলে বাহ্যিক কোন বল প্রয়োগ না করলে গতিশীল বস্তু আজীবন গতিশীল আর স্থিতিশীল বস্তু আজীবন স্থিতিশীলই থেকে যাবে। অর্থাৎ একটা মহাকাশযানকে যদি কোনো রকমে মহাশূন্যে পাঠানো যায় তাহলে সেটা কোনরকম তেল বা শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই এমনি এমনিই আজীবন ঘুরতে থাকবে- এমনটাই ধারণা করা হত। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। মহাশূন্য আসলে শুন্য বা বায়ুহীন না। সেখানে খুবই অল্প পরিমাণে বায়ু রয়েছে। আর এই বায়ুই মহাকাশে নিশ্চিন্তে বসবাসের পথ রোধ করে দিল। আরো পড়ুন
ধূমকেতুর জন্ম পরিচয় কি? তার বাড়িই বা কোথায়? দাঁড়াও দাঁড়াও এতো উতলা হওয়া কিছু নেই... আরো পড়ুন ধূমকেতুর জন্ম পরিচয় কি? তার বাড়িই বা কোথায়? দাঁড়াও দাঁড়াও এতো উতলা হওয়া কিছু নেই। জানো তো, তাড়াহুড়া করা শয়তানের স্বভাব। আর শয়তান নিশ্চয় আমাদের প্রকাশ্... আরো পড়ুন ধূমকেতুর জন্ম পরিচয় কি? তার বাড়িই বা কোথায়? দাঁড়াও দাঁড়াও এতো উতলা হওয়া কিছু নেই। জানো তো, তাড়াহুড়া করা শয়তানের স্বভাব। আর শয়তান নিশ্চয় আমাদের প্রকাশ্য শত্রু। চলো ধূমকেতু সম্পর্কে কিছু খুচরো তথ্য জেনে আসা যাক। তথ্যগুলো ঝটপট মাথায় পুরে নিয়ো কিন্তু। সাধারণভাবে ধূমকেতু হলো এমন সৌরজাগতিক বস্তু, যা ধুলো, বরফ ও গ্যাসের দ্বারা গঠিত। এটি সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কোমা (একটি পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমণ্ডল) এবং কখনও লেজও প্রদর্শন করে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের উপর সূর্যরশ্মির বিকিরণ ও সৌর বায়ুর প্রভাবে এমনটি সংঘটিত হয়। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস মূলত বরফ, ধূলো ও ছোট ছোট পাথুরে কণার দুর্বল সম্মেলন। ধূমকেতু প্রস্থে মাত্র কয়েকশো মিটার থেকে দশ কিলোমিটার এবং লেজের দৈর্ঘ্য কয়েকশো কিলোমিটার অবধি হতে পারে। একটি ধূমকেতুর ব্যাপ্তিকাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েকশো বছর পর্যন্ত টিকতে পারে। আরো পড়ুন
বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংব... আরো পড়ুন বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংবরণ করতে হবে দাদারা! কারণ এ বিয়ে খেতে হলে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হবে তাও... আরো পড়ুন বিয়ের কথা শুনলেই দাওয়াত খাওয়ার জন্য জিভে জল চলে আসে তাই না? এ যাত্রায় ওসব জল সংবরণ করতে হবে দাদারা! কারণ এ বিয়ে খেতে হলে হাজার মাইল পাড়ি দিতে হবে তাও আবার মহাশূন্যে। হুম, বলছি দুই চিরশত্রু সোভিয়েত আর যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণায় মিলন আর তাদের যুক্ত প্রজেক্ট অ্যাপোলো-সয়ুজের (Apollo-Soyuz) কথা। এই মিলিত প্রজেক্টকে মহাকাশে ঘর বাঁধার মিলনমেলা বলা হয়। পরিকল্পনা ছিল এরকম। সোভিয়েত ইউনিয়ন কাজাখস্থান থেকে সয়ুজ নামক মহাকশযানটি উৎক্ষেপণ করবে। ঠিক একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে অ্যাপোলো উৎক্ষেপণ করবে। এরপর এরা উভয়ে ভুপৃষ্ঠ থেকে ২২০ কিলোমিটার উপরে একে অপরের সাথে মিলিত হবে। এরপর মার্কিন মহাকাশচারীরা সোভিয়েত মহাকাশচারীদের যানে প্রবেশ করবে এবং তারা উভয় যানে বিচরণ করে মিলিতভাবে গবেষণা চালাবে। মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এই উল্লেখযোগ্য এবং গুরত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালে। আরো পড়ুন
পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে।... আরো পড়ুন পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে। এ সবই সংবাদ-মাধ্যমগুলোর অতিরঞ্জন। তবে যা কিছু রটে, কিছু না কিছু ঘটে ব... আরো পড়ুন পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত পড়ি, অমুক দিন পৃথিবী তমুক ধূমকেতুর আঘাতে শেষ হয়ে যাবে। এ সবই সংবাদ-মাধ্যমগুলোর অতিরঞ্জন। তবে যা কিছু রটে, কিছু না কিছু ঘটে বলেই সামান্য কিছু সত্যতাও আছে। পৃথিবীর সাথে এমন সংঘর্ষের দিক থেকে গ্রহাণু ও ধূমকেতুদের কথাই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে। সুইফট টাটল (Swift-Tuttle) এমন একটি ধূমকেতু। জানা গিয়েছিল, ২১২৬ সালের ২১শে আগস্ট এটি পৃথিবীতে আঘাত হানবে। যদি সেটাই ঘটে, বৈশ্বিক দুর্যোগ অবধারিত। ইতি ঘটবে মানুষেরও। ১৯৯৩ সালে একে দেখার পরে হিসাব-নিকাশ করে দেখা গেল ২১২৬ সালে একটি সংঘর্ষ হচ্ছেই। পরে সংশোধিত হিসাবে দেখা যায়, এটি সপ্তাহের জন্যে পৃথিবীকে মিস করবে। অল্পের জন্য বাঁচা। আমরা এর দিক থেকে নিশ্চিন্তেই থাকতে পারি। তবে বিপদ যে একেবারেই নেই তা কিন্তু নয়। আজ হোক, কাল হোক, সুইফট টাটল বা এরই মতো কেউ পৃথিবীতে আঘাত হানবেই। আরো পড়ুন
গত সংখ্যায় তোমাদের সাথে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন আর বিগব্যাং নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় তোমাদের সাথে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন আর বিগব্যাং নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম। ওই আলোচনার সাথেই সংশ্লিষ্ট আলোচনা রয়ে গেলো ইনফ্লেশন থিওরি। ই... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় তোমাদের সাথে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন আর বিগব্যাং নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছিলাম। ওই আলোচনার সাথেই সংশ্লিষ্ট আলোচনা রয়ে গেলো ইনফ্লেশন থিওরি। ইনফ্লেশন শব্দের শাব্দিকভাবে অর্থ করলে হয় মুদ্রাস্ফীতি। এখন এই অর্থের সাথে অ্যানালোজি খাটিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে অর্থ নিলে বলা যায় মহাবিশ্ব-স্ফীতি। গত সংখ্যায় এই মহাবিশ্বের শুরুর পর্যায়ের অবস্থা সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে। মহাবিস্ফোরণ ঘটেছিলো। মহাবিস্ফোরণ পর্যন্ত কী হয়েছিলো? হ্যাঁ, আজ সেটা নিয়েই আলোচনা। তবে মন লাগিয়ে ফেলো বইয়ের পাতায়। প্রথমতই বলে রাখি বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল। বর্তমান বিজ্ঞান অনেক থিওরিই আবিষ্কার করে। যা আপাত দৃষ্টিতে সঠিক। আরো পড়ুন
অ্যাপোলো সয়ুজের হাত ধরে আর হাজারটা চড়াই উতরাই পেরিয়ে সোভিয়েত-মার্কিন শতাব্দীকালব... আরো পড়ুন অ্যাপোলো সয়ুজের হাত ধরে আর হাজারটা চড়াই উতরাই পেরিয়ে সোভিয়েত-মার্কিন শতাব্দীকালব্যাপী মহাকাশ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাশূন্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান ক... আরো পড়ুন অ্যাপোলো সয়ুজের হাত ধরে আর হাজারটা চড়াই উতরাই পেরিয়ে সোভিয়েত-মার্কিন শতাব্দীকালব্যাপী মহাকাশ যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মহাশূন্যে স্থায়ীভাবে অবস্থান করার মত একটি যান ‘International Space Station (ISS)’ এর জন্ম হয় উনিশ শতকের শেষভাগে। ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে রাশিয়া ISS-এর প্রথম মডিউল মহাকশে স্থাপনের মাধ্যমে এর অফিসিয়াল যাত্রা শুরু হয়। এবং শেষ মডিউলটি যুক্ত করা হয় ২০১১ সালে। তবে সংযোজন বিযোজন চলছে আজ অব্দি। স্টেশনটি ২০৩০ সাল পর্যন্ত চলার উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে। আরো পড়ুন
মহাকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনার শেষ নেই। মহাকাশে মানুষের অগ্রগতির ফলে এটা বলা কঠি... আরো পড়ুন মহাকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনার শেষ নেই। মহাকাশে মানুষের অগ্রগতির ফলে এটা বলা কঠিন যে, মহাকাশে আগামী দিনে আর কি কি হবে? বিশাল ও বিস্ময়কর রহস্য ভান্ডারে... আরো পড়ুন মহাকাশ নিয়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনার শেষ নেই। মহাকাশে মানুষের অগ্রগতির ফলে এটা বলা কঠিন যে, মহাকাশে আগামী দিনে আর কি কি হবে? বিশাল ও বিস্ময়কর রহস্য ভান্ডারের দরজা খুলে গেছে চার দশকের ও বেশি সময় আগে থেকেই। কিন্ত তার পরও মানুষের অগ্রগতি একেবারে কম নয়। ১৯৬৯ সালে মানুষ চাঁদে গেলো। মঙ্গল ও শুক্রে অবতরন করলো মানুষের তৈরী মহাকাশযান। সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহকে মহাকাশযান দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এমনকি বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের কোথায় কোন বস্তুটি মানুষের উপকারে লাগতে পারে তা নিয়েও চলছে বিস্তর গবেষণা। মনে হচ্ছে একুশ শতকে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আরও তাৎপর্যপূর্ন অগ্রগতি ঘটবে। তবে ভবিষ্যতের কথা নিঃসংশয়ে বলা যায় না। তবুও এ কথা দৃঢ়ভাবেই বলা যেতে পারে নিখিল বিশ্বের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এ শতক থেকেই নিবিড় হতেই শুরু করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে মহাবিশ্বকে মানুষের উপনিবেশে পরিণত করাটা মোটেই আর অসম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আরো পড়ুন