প্রযুক্তি

বিটকয়েনের দৌরাত্ন্য

সাব্বির আহমেদ

৮ জানুয়ারী ২০২৩
Time Icon  

 ৭ মিনিট

বন্ধুরা, নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আশা করছি তোমরা সবাই খুব ভালো আছো। বর্তমানে ফেসবুক কিংবা ইউটিউবের কল্যাণে তোমরা সবাই হয়তো কখনো না কখনো বিটকয়েন শব্দটি শুনেছ। কিন্তু বিটকয়েন সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা অনেকেই ভালোভাবে জানি না। বিটকয়েন কী? কীভাবে কাজ করে? কী কী কাজে ব্যবহার করা হয়? চলো আজ জেনে নেয়া যাক এসব প্রশ্নের উত্তর।


বিটকয়েন হলো একধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি। আর ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো এমন একধরনের ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবস্থা যার কোনো ফিজিক্যাল বা বাস্তব রূপ নেই। বিটকয়েন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি। এটি ব্যবহার করে লেনদেন শুধু অনলাইনেই সম্ভব। যার পুরো কার্যক্রম ক্রিপ্টগ্রাফি নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী র‍্যানসমওয়্যার অ্যাটাকের পর থেকে এটি একটি উঠতি মার্কেটে পরিণত হয়েছে। কারণ হ্যাকাররা বিটকয়েনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেছিলো। 


সাধারণত, আমরা টাকা-পয়সা লেনদেনের ক্ষেত্রে একটি তৃতীয় পক্ষীয় সংস্থার আশ্রয় নেই। যেমন মনে করো, তুমি তোমার কোন বন্ধুকে কিছু টাকা পাঠাবে। এক্ষেত্রে তুমি তোমার ফোনের বিকাশ/রকেট অ্যাকাউন্ট থেকে তোমার বন্ধুকে টাকাটি পাঠিয়ে দিলে। এখানে তুমি প্রেরক, তোমার বন্ধু প্রাপক এবং বিকাশ/রকেট তৃতীয় পক্ষ, যে কিনা সমস্ত লেনদেন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করলো এবং এর জন্য কিছু চার্জ আদায় করলো। কিন্তু বিটকয়েন এমন একটি মুদ্রা ব্যবস্থা যাতে অর্থ আদান-প্রদানের জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন হয় না। প্রেরকের কাছ থেকে সরাসরি বিটকয়েন প্রাপকের কাছে পৌঁছে যায়। এই ব্যবস্থাকে বলা হয় ‘পিয়ার টু পিয়ার’ (peer-to-peer)। এক্ষেত্রে সমস্ত লেনদেন প্রক্রিয়াটি হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে যা অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি প্রক্রিয়া। যেহেতু কোনো তৃতীয় পক্ষীয় সংস্থা এই লেনদেন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে না, সেহেতু বিটকয়েনের লেনদেনের গতিবিধি নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। অর্থাৎ কে কাকে বিটকয়েন পাঠাচ্ছে তার পরিচয় কেউ জানতে পারে না। পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রেখেই বিটকয়েন লেনদেন করা যায়। কোন রাষ্ট্র বিটকয়েনের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নয়, ফলশ্রুতিতে বিটকয়েনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন সর্বস্বীকৃত সংস্থাও নেই। তার মানে হচ্ছে কখন, কতগুলো বিটকয়েন বানানো হবে, বাজারে বিদ্যমান বিটকয়েন কোথায় রয়েছে অথবা বিটকয়েন জালিয়াতি দেখার জন্য কেউ নেই।


যেভাবে এলো এই বিটকয়েন

২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট। এই দিনে ইন্টারনেট জগতে ‘bitcoin.com’ নামের একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন রেজিস্টার করা হয়। এ বছরেরই নভেম্বর মাসে ‘সাতোশি নাকামোতো’ ছদ্মনামে এক ব্যক্তি বা একটি দল ‘Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System’ নামে একটি গবেষণাপত্র অনলাইনে প্রকাশ করেন। এই গবেষণাপত্রটিতেই সর্বপ্রথম বিটকয়েন সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।

২ বছর

শেয়ার করুন

কপি

মন্তব্য করুন

মন্তব্য করতে লগইন করুন

লগইন রেজিষ্টার