মহাকাশে ৩০০ দিন! অবশেষে পৃথিবীতে ফিরলেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর
প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে দীর্ঘ ৩০০ দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (ISS) বন্দি থাকার পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন মার্কিন নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও ব্যারি বুচ উইলমোর। তাদের উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে ছিল এলন মাস্কের স্পেসএক্স, এবং সফলভাবে তাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
কেন এতদিন মহাকাশে থাকতে হলো?
মাত্র ৮ দিনের মিশনের জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল সুনীতা ও বুচকে। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে তাদের ফিরে আসার পরিকল্পনা একাধিকবার পিছিয়ে যায়। নাসার বাণিজ্যিকীকরণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই মিশন পরিচালিত হলেও নানা সমস্যার কারণে এটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দীর্ঘ হয়ে যায়। অবশেষে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে স্পেসএক্স-এর ক্রু-১০ মহাকাশযান তাদের উদ্ধার করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনেছে।
মহাকাশে জীবনযাপন: কেমন ছিল এই ৩০০ দিন?
যদিও আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে উন্নত জীবনযাত্রার ব্যবস্থা রয়েছে, তবু এত দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে অবস্থান করা সহজ কাজ নয়।
খাবারের ব্যবস্থা: মহাকাশে থাকলেও খাবারের কোনো অভাব হয়নি তাদের। ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল, গুঁড়ো দুধ, পিৎজা, শ্রিম্প ককটেল, রোস্টেড চিকেন, টুনা মাছ—সবই ছিল তাদের মেনুতে। তবে তাজা শাক-সবজি পাওয়া কঠিন, তাই শুকনো ফল ও সবজিই খেতে হয়েছে। প্রতি তিন মাসে একবার মহাকাশে তাজা খাবার পাঠানো হয়, যা সংরক্ষণ করে রাখা হয়। মাছ-মাংসও প্যাকেটজাত করে পৃথিবী থেকে পাঠানো হয়, যা ফুড ওয়ার্মার ব্যবহার করে গরম করে খাওয়া হয়।
পানি সংরক্ষণ: ISS-এ ৫৩০ গ্যালনের বিশাল জলাধার রয়েছে। মহাকাশচারীরা এই সংরক্ষিত জল দিয়েই খাবার প্রস্তুত করেন এবং প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করেন।
শারীরিক ও মানসিক অবস্থা: মহাকাশে এতদিন অবস্থান করা শারীরিক ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং। মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তন হয়, যেমন পেশিশক্তি কমে যাওয়া ও হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়া। এছাড়া, পৃথিবী থেকে এতদিন বিচ্ছিন্ন থাকাও মানসিকভাবে কঠিন হতে পারে।
কমেন্ট করতে লগইন করুন
লগইন