ব্লগ সমূহ
পরম+অণু = পরমাণু। পরম অর্থ নিখুঁত, পূর্ণাংগ, সর্বোচ্চ। বিজ্ঞানী দাদাদের ভাষায় যা... আরো পড়ুন পরম+অণু = পরমাণু। পরম অর্থ নিখুঁত, পূর্ণাংগ, সর্বোচ্চ। বিজ্ঞানী দাদাদের ভাষায় যাকে আর ভাঙ্গা যায় না, বা ভাঙলে তার স্বাধীন অস্তিত্ব থাকে না তাই পরমাণু।... আরো পড়ুন পরম+অণু = পরমাণু। পরম অর্থ নিখুঁত, পূর্ণাংগ, সর্বোচ্চ। বিজ্ঞানী দাদাদের ভাষায় যাকে আর ভাঙ্গা যায় না, বা ভাঙলে তার স্বাধীন অস্তিত্ব থাকে না তাই পরমাণু। তবে আজকাল পরমাণু কিন্তু মোটেই 'পরম' অণু নয়। একে ভেঙ্গে ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, মেসন, লেপটন, ব্যারিয়ন, মিউন ইত্যাদি ভুরি ভুরি অতিপারমাণবিক কণা (Subatomic Particles) পাওয়া যাচ্ছে। এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাসহ পরমাণুর ব্যাবচ্ছেদ করতে চলো ডুব দেই পরমাণুর গহীন নিসর্গে। না ডুবে মরার ভয় নেই। মণিমুক্তা না পেলেও হাত একেবারে খালি ফেরত আসবে না। কারণ পরিসংখ্যান আমাদের পক্ষেই আছে। ১৯২২ সালে এই কাণ্ড করেই যে নিলস বোর পকেটে পুরেছিলেন সে বছরের পদার্থবিদ্যার নোবেল প্রাইজ। ডুব মারার ফায়দা তিনি একাই পাননি। পরমাণুর ছোট্ট জগতে গবেষণার ঘোড়া দৌড়িয়ে আরো অনেক বিজ্ঞানীই ধন্য হয়েছেন স্বপ্নের নোবেল পুরস্কার পেয়ে। ১৯২২ সালে নিলস বোরকে দিয়ে শুরু। এরপরে পরমাণুতে ইলে... আরো পড়ুন
কি এক বিদঘুটে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এখন সবার মাঝে। কিছু একটা নড়লেই মনে হয় এই বুঝি... আরো পড়ুন কি এক বিদঘুটে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এখন সবার মাঝে। কিছু একটা নড়লেই মনে হয় এই বুঝি ভূমিকম্প হলো, পড়ি কি মরি করে সবার সে কি ছোটাছুটি। নেপালের ভূমিকম্পের ভ... আরো পড়ুন কি এক বিদঘুটে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এখন সবার মাঝে। কিছু একটা নড়লেই মনে হয় এই বুঝি ভূমিকম্প হলো, পড়ি কি মরি করে সবার সে কি ছোটাছুটি। নেপালের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা আমাদের মনে বেশ আতংক ধরিয়ে দিয়েছে। একদিকে ভূমিকম্পের ভয় অন্যদিকে ভাগ্নে আয়ানের প্রশ্নের পর প্রশ্ন আমার জীবন একেবারে নয়ছয় করে দিয়েছে। ভূমিকম্প কেন হয়? কে ধাক্কা দেয়? মাটির নিচে কি দৈত্য আছে? কেন সে ধাক্কা দেয়? ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন আয়ানের। এসব প্রশ্ন কমবেশী আমাদের সবার মনেই ঘুরপাক খায়। এসো বন্ধুরা আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো ভূমিকম্প কি? কেন হয়? কিভাবে হয়? হলে পরে আমাদের কি করা উচিত? ইত্যাদি। মজার বিষয় কি জানো? আমরা সারাক্ষন ভুমিকম্পের উপরেই আছি। প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষবার ভূমিকম্প হয়। সে হিসেবে দিনে প্রায় ১৩৭০ বার। ঘন্টায় ৫৭ বার। তার মানে প্রায় প্রতি মিনিটেই ভূমিকম্প হচ্ছে। ভাগ্য ভালো এর বেশীরভাগই আমরা টের পাইনা। কারণ সেগুলো খুব কম মাত্রা... আরো পড়ুন
আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হ... আরো পড়ুন আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হওয়ায় প্রায়ই এমন হয়, টিচার তার রোল পর্যন্ত আসতে আসতে ঝিমুনী চলে আসে। অন... আরো পড়ুন আবার রোলকলের সময় ঝিমুনী এসে গিয়েছিলো প্রিয়াঙ্কার। ৬৫ জনের মধ্যে শেষের দিকে রোল হওয়ায় প্রায়ই এমন হয়, টিচার তার রোল পর্যন্ত আসতে আসতে ঝিমুনী চলে আসে। অন্যদিন তো দুই বান্ধবী ধাক্কা দিয়ে জাগিয়ে দেয় তার রোল আসার আগেই। আজ কি হলো? আরেকটু হলেই তো অ্যাটেনডেন্সটাই মিস হয়ে যাচ্ছিলো। প্রশ্ন করার জন্য ডানদিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে তনিমাকে পেলো না প্রিয়াঙ্কা। বোকার মত বামদিকে ঘাড় ঘুড়িয়ে তাকালো। স্মৃতিও নেই। এরপর সামনে পিছনে। কোথাও কেউ নেই। একটা বেঞ্চে বসে আছে সে, সামনে একটা টেবিল। কিন্তু আশেপাশে কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। শুধু কুয়াশার মত সাদা ধোঁয়া, যত দূর চোখ যায় ঘুরে ঘুরে পাক খাচ্ছে। হতভম্ব ভাবটা কাটতে না কাটতেই নারী কন্ঠের আওয়াজে চমকে উঠলো সে। - প্রি 0904152, please concentrate on the lecture. এদিক ওদিক কন্ঠস্বরের উৎস খুঁজছে তখন প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না, অন্ধ হয়ে গেলো নাকি? অন্য কোন আওয়াজও তো শোনা... আরো পড়ুন
জাতীয় শিল্পোন্নয়নে স্বয়ংসর্ম্পূণতা অর্জনের লক্ষ্যে বহুমুখী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণ... আরো পড়ুন জাতীয় শিল্পোন্নয়নে স্বয়ংসর্ম্পূণতা অর্জনের লক্ষ্যে বহুমুখী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান কাউন্... আরো পড়ুন জাতীয় শিল্পোন্নয়নে স্বয়ংসর্ম্পূণতা অর্জনের লক্ষ্যে বহুমুখী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান কাউন্সিল অব সায়েন্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (পিসিএসআইআর) এর সহ-প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় পুর্বাঞ্চলীয় ল্যবরেটরি। পরর্বতীতে পর্যায়ক্রমে ১৯৬৫ সালে চট্রগ্রামে এবং ১৯৬৭ সালে রাজশাহীতে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে এটি বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রির্সাচ (বিসিএসআইআর) নাম ধারণ করে। ১৯৭৮ সালে এটি পরিণত হয় স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে। পরর্বতীতে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ আইন ২০১৩ প্রণীত হয়। পরিষদের অধীনে দশটি সহ-গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠানের মূল নামে তিনটি গবেষণাগার ছাড়াও ঢাকা, সাভার ও জয়পুরহাটে রয়েছে আরো ৭টি সহ-গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যেম... আরো পড়ুন
আচ্ছা বল তো, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নাম 'অ্যান্টার্কটিকা' কেন হলো? আসলে পৃথিবী... আরো পড়ুন আচ্ছা বল তো, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নাম 'অ্যান্টার্কটিকা' কেন হলো? আসলে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের মেরু এলাকাকে বলে আর্কটিক। এর বিপরীত হল অ্যান্টার্কটিক।... আরো পড়ুন আচ্ছা বল তো, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের নাম 'অ্যান্টার্কটিকা' কেন হলো? আসলে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের মেরু এলাকাকে বলে আর্কটিক। এর বিপরীত হল অ্যান্টার্কটিক। আর সেখান থেকেই অ্যান্টার্কটিকা। উত্তর মেরু এলাকার নাম কেন আর্কটিক হলো তা বলার এখন সময় নেই, কেননা আগে সংবাদ ব্যাপিত করতে হবে। তো অ্যান্টার্কটিকার কোন খবর আছে নাকি? হ্যাঁ, আছে। তবে খবরের আগে যোগ করতে 'দুঃ' নামক বিশেষণ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মহাসাগরের উষ্ণ পানির কারণে গলে যাচ্ছে পূর্ব অ্যান্টার্কটিকার সবচেয়ে বড় হিমবাহ টটেন গ্ল্যাসিয়ার। টটেন গ্ল্যাসিয়ারের উচ্চতা ২০ ফুট (৬ মিটার)। এটি লম্বায় ১২০ কিলোমিটার ও প্রস্থে ৩০ কিলোমিটারেরও বেশি। ভ্রমণ ফেরত বিজ্ঞানী দলের স্টিভ রিনটল জানান, আমরা হিমবাহটির সামনের দিকের তাপমাত্রা পরিমাপ করেছি। এই তাপমাত্রা হিমবাহ গলানোর জন্য যথেষ্ট। হিমবাহটির কাছে উষ্ণ স্রোতের ধারা পৌঁছানোর অর্থ হচ্ছে জলবা... আরো পড়ুন
ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, অণু, পরমাণু এগুলো হলো এমন কয়েকটি শব্দ যেগুলো আমরা পড়া... আরো পড়ুন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, অণু, পরমাণু এগুলো হলো এমন কয়েকটি শব্দ যেগুলো আমরা পড়াশুনার সময় একই সাথে শুনে থাকি। কিন্তু অদ্ভুত ব্যপার হলো, আস্তে আস্তে আম... আরো পড়ুন ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন, অণু, পরমাণু এগুলো হলো এমন কয়েকটি শব্দ যেগুলো আমরা পড়াশুনার সময় একই সাথে শুনে থাকি। কিন্তু অদ্ভুত ব্যপার হলো, আস্তে আস্তে আমরা যতোই উপরের ক্লাসে উঠতে থাকব, ইলেকট্রন বাদে বাকি টার্মগুলো ততোই ভ্যানিশ হতে থাকবে। একসময় এমন মনে হবে এই দুনিয়ার তাবৎ অণু পরমাণুর কোন ভ্যালুই নেই, ইলেক্ট্রনই সব। বিশেষ করে তড়িৎ বা ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে পড়তে গেলে এই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি হয়। অথচ ইলেকট্রন হলো খুবই হালকা (পৃথিবীর সবচেয়ে হালকা পরমাণুটির ওজনের ১৮৩৭ ভাগের ১ ভাগ ওজন হলো একটি ইলেক্ট্রনের)। এটা এতই হালকা যে এটা আসলে আদৌ কোন পদার্থ নাকি এক ধরণের রশ্মি বা শক্তিকণা এ ব্যপারে এখনো মতভেদ চলছে। তবুও কেন এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাটিকে নিয়েই এত মাতামাতি, এত এত পড়াশোনা? আরো পড়ুন
১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ড... আরো পড়ুন ১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ডুবুরী] অলস ডুব দিচ্ছেন গ্রীসের ‘এন্টিকিথেরা’ দ্বীপের কাছাকাছি একটা জায়... আরো পড়ুন ১৯০০ সালের গ্রীষ্মের সময় তখন। এপ্রিলের দিকে একদল গ্রীক ‘স্পঞ্জ ডাইভার’ [স্পঞ্জ ডুবুরী] অলস ডুব দিচ্ছেন গ্রীসের ‘এন্টিকিথেরা’ দ্বীপের কাছাকাছি একটা জায়গায়। উদ্দেশ্য দ্বীপের পাশের পানির নিচ থেকে স্পঞ্জ তুলে এনে বাজারে বিক্রি করা। এই ডুবুরীর দল কখনো স্বপ্নেও ভাবেন নি যে তারাই হতে যাচ্ছেন দুনিয়ার সবচেয়ে পুরাতন কম্পিউটারের আবিষ্কারকারী। কারন আদতে কম্পিউটার তখনো বানানো হয় নি সেভাবে। সাধারন মানুষ তো দূরের কথা এমনকি বিজ্ঞানচর্চার সাথে জড়িত সবাইও জানতো না কম্পিউটার নামক যন্ত্র সম্পর্কে। ডুবুরী দলের একটা অংশ ডুব দিলেন সাগরের ৪৫ মিটার বা ১৪৮ ফুট গভীরে। পানির নিচে যাওয়ার পরে খুব অবাক হয়ে তারা লক্ষ্য করলেন আবছা অন্ধকারে সম্ভবত অনেক পুরাতন একটা জাহাজের ভাংগা কিছু অংশ দেখা যায়। আবিষ্কারের উত্তেজনায় তারা উপরে উঠে এলেন। দলের বাকী সবাইকে জানালেন। সবাই আবার ডুব দিয়ে নিচে গিয়ে নিশ্চিত হলেন যে, এই জাহাজটি অনেক... আরো পড়ুন
৩য় শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নের এমনই উত্তর করেছিলাম ১৯৯৯ সালে। চোখে ৩০০০০... আরো পড়ুন ৩য় শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নের এমনই উত্তর করেছিলাম ১৯৯৯ সালে। চোখে ৩০০০০ এর ১টি শূন্য কম ধরা পড়েছিল; কারণ বইয়ে অঙ্কটি ৩০০০ দিয়ে করা ছিল। ২ ঘন্... আরো পড়ুন ৩য় শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নের এমনই উত্তর করেছিলাম ১৯৯৯ সালে। চোখে ৩০০০০ এর ১টি শূন্য কম ধরা পড়েছিল; কারণ বইয়ে অঙ্কটি ৩০০০ দিয়ে করা ছিল। ২ ঘন্টার পরীক্ষা মাত্র ১৫ মিনিটে শেষ করে রিভিশনের ধার না ধেরে খাতা জমা দিয়ে সোজা বাসার উদ্দেশে রওনা। তৃতীয় শ্রেণীর ১ম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নের এমনই উত্তর করেছিলাম ১৯৯৯ সালে। সাথে আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাকিবও ছিল। দু’জনে হাঁটছি আর প্রশ্নের উত্তর মিলাচ্ছি। সে ৩০০০০-এর আর একটি শূন্য চোখে আঙুল দিয়ে আমাকে দেখিয়ে দিল। এরপর বাসায় না ঢুকে সিঁড়ির নিচে লুকালাম। কিন্তু কতক্ষু? মা’র চোখে ধরা পড়ে গেলাম। অংকে ভুল করার জন্য খেলাম আরও একদফা পিটুনি। প্রতিবারই পাটিগণিত পরীক্ষায় কিছু না কিছু ভুল আর সেই সাথে সব সময়ের জন্য কিছু পিটুনি নির্ধারিত ছিলই। তখন মনে মনে ভাবতাম, ‘পাটিগণিত’ নামটি সার্থক হয়েছে; তবে আরও ভাল হতো যদি নামটি রাখা হতো “পেটানো গণিত”!!! আরো পড়ুন
মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাক... আরো পড়ুন মানবদেহে কোন আর্টিফিশিয়াল উপকরণ প্রতিস্থাপনের বিষয়টিকে মেডিকেল সাইন্সের ভাষায় প্রোস্থেসিস (Prosthesis) বলা হয়। হৃৎপিন্ডে যে যন্ত্রটি স্থাপন করা হয় তাকে পেসমেকার বলে। কিন্তু আমরা কখনো কি ভেবে দেখেছি এই পেসমেকার সম্পর্কে? পেসমেকার হচ্ছে এমন এক ধরনের ডিভাইস যেটি অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে প্রশ্ন চলে আসে অনিয়ন্ত্রিত হৃদস্পন্দন কি? মানুষের স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন মিনিটে ৬০-৯০ টি। যদি স্বাভাবিকের চেয়ে স্পন্দন কম হয়, তাহলে হৃদপিন্ডে স্বাভাবিক রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়, অর্থাৎ তখন শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহের জন্য হৃদপিন্ড কাজ করতে সক্ষম থাকে না। হৃদস্পন্দন যখন কমে যায় তখন এটাকে স্বাভাবিক করার জন্য পেসমেকার ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মজার বিষয় হল পেসমেকার এর যিনি আবিষ্কারক, Wilson Greatbatch (১৯১৯-২০১১), তিনি জানতেনই না যে কি আবিষ্কার হতে চলেছে। দুর্ঘটনাবশত এই আবিষ্কার পরবর্তীতে... আরো পড়ুন
শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ... আরো পড়ুন শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ্যাঁ, জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার প্রদানের কোন ব্যবস্থা নেই। নোবেল... আরো পড়ুন শিরোনাম দেখে কি কপাল কুঁচকে গেছে? জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল! এ কেমন অদ্ভূতুড়ে কথা! হ্যাঁ, জ্যোতির্বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার প্রদানের কোন ব্যবস্থা নেই। নোবেল নেই বিজ্ঞানের আরেকটি অবিচ্ছেদ্য শাখা গণিতের জন্যেও। ফলে এই দু’টি ফিল্ড নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে একটি প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে- কেন এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় বাদ পড়ে যাচ্ছে। আলফ্রেড নোবেল সাহেব তাঁর নোবেলের উইলে বলে রেখেছিলেন নোবেল প্রাইজ শুধু তাঁদেরকেই দেওয়া হবে যারা পরবর্তী বছরগুলোতে মানবজাতির সর্বোত্তম কল্যাণ সাধন করবে। তিনি বলে দিয়েছিলেন পুরস্কারের ক্ষেত্রও। কিন্তু তাঁর তালিকায় জ্যোতির্বিদ্যার কোন স্থান ছিল না। তিনি হয়ত ভেবেছিলেন গণিত বা বিজ্ঞানের এই শাখাটির তেমন কোন বাস্তব কল্যাণ নেই। অবশ্য পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি, সাহিত্য- এই পাঁচটি বিষয়ের পাশাপাশি পুরস্কারের শ্রেণিতে যুক্ত হয় অর্থনীতিও। তবে এটির অর্থায়ন করে সুইডিশ... আরো পড়ুন
এবার চল মেঘ নিয়ে কিছু জানি। প্রচন্ড গরম ও সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত জলীয় বাষ্প উপরে... আরো পড়ুন এবার চল মেঘ নিয়ে কিছু জানি। প্রচন্ড গরম ও সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত জলীয় বাষ্প উপরে উঠে ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। একসময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফ স্ফটিকে পরিণত হ... আরো পড়ুন এবার চল মেঘ নিয়ে কিছু জানি। প্রচন্ড গরম ও সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত জলীয় বাষ্প উপরে উঠে ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে। একসময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বরফ স্ফটিকে পরিণত হয়। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ফটিকগুলো উপরের দিকে উঠতে থাকে এবং এক সময় ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি এবং মাঝারি থেকে বড় স্ফটিকে পরিণত হয়ে অভিকর্ষের টানে মাটিতে পরে (যা শিলাবৃষ্টি নামে পরিচিত)। এটা অনেকটাই তোমার মত। তুমি পরীক্ষার আগের রাতে মুখস্থ করে মাথা ভার কর, আর পরীক্ষার হলে গিয়ে সেই ভারমুক্ত হও, পরের দিনে আবার সেই একই কাহিনী। ক্ষুদ্র স্ফটিকগুলোর ঊর্ধ্বগতি আর বড় স্ফটিকগুলোর নিম্নগতির ফলে তারা পরস্পরের সাথে ধাক্কা খায় এবং তাদের মধ্যে চাজের্র আদান-প্রদান ঘটে। ফলে মেঘের ওপরের অংশ ধনাত্মক (+) এবং নিচের অংশ ঋণাত্মক (-) চার্জে চার্জিত হয় (অনেকটা অলিম্পিক ব্যাটারির মত)। আরো পড়ুন
কোন কোন প্যারাডক্স সবার মাথা ঘুরিয়ে দেয়। আর সব প্যারাডক্সই কারো না কারো মাথা ঘুর... আরো পড়ুন কোন কোন প্যারাডক্স সবার মাথা ঘুরিয়ে দেয়। আর সব প্যারাডক্সই কারো না কারো মাথা ঘুরিয়ে দেয়। তোমাদের কারো যদি মাথা নাও ঘুরে, তবে আমার নিজের মাথা ঘোরার মাধ... আরো পড়ুন কোন কোন প্যারাডক্স সবার মাথা ঘুরিয়ে দেয়। আর সব প্যারাডক্সই কারো না কারো মাথা ঘুরিয়ে দেয়। তোমাদের কারো যদি মাথা নাও ঘুরে, তবে আমার নিজের মাথা ঘোরার মাধ্যমে আমার বাণীটি (গণিতের ভাষায় বললে 'প্রতিজ্ঞাটি') সত্য হচ্ছে। তবে এই প্রতিজ্ঞাটি থুক্কু বাণীটি কোন এক মনীষীর- যাকে আমি গাণিতিক প্রতিজ্ঞার রূপ দিয়েছি। আজকে প্যারাডক্সের মই বেয়ে আমরা উপরে উঠবো। তবে আগে একটি প্রাসঙ্গিক কৌতুক। তোমরা কি সেই কৌতুকটা শুনেছো? দুই বন্ধু গল্প করছে- ১ম বন্ধু : আমার দাদার বিশাল এক গোয়ালঘর ছিল। সে গোয়ালঘরের এক প্রান্ত থেকে কোন বাছুর হাঁটা শুরু করলে, অন্য প্রান্ত দিয়ে বের হতে হতে বয়স্ক গরু হয়ে যেত। ২য় বন্ধু: আরে রাখ তোর দাদার গোয়ালঘর। আমার দাদার ছিল ইয়াবড় আর লম্বা এক মই। সে মই দিয়ে আমার দাদা নীল আর্মস্ট্রংদের আগেই চাঁদ ভ্রমণ করে এসেছেন। ১ম বন্ধু : বললেই হলো। অতবড় মই রাখত কোথায়? ২য় বন্ধু : কেন? তোর দাদার গোয়ালঘরে! তুমিও চা... আরো পড়ুন
তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। ক্লাসে একদিন গণিতের শিক্ষক এসে বললেন, জীবন গণিতময়; জীবনের... আরো পড়ুন তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। ক্লাসে একদিন গণিতের শিক্ষক এসে বললেন, জীবন গণিতময়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা গণিত ব্যবহার করি। পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক বললেন,... আরো পড়ুন তখন নবম শ্রেণিতে পড়ি। ক্লাসে একদিন গণিতের শিক্ষক এসে বললেন, জীবন গণিতময়; জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা গণিত ব্যবহার করি। পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষক বললেন, পদার্থবিজ্ঞানের মাধ্যমে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখি। চিন্তা করে দেখলাম আসলেই তো, আমরা প্রাত্যহিক জীবনে এগুলোর ব্যবহার অহরহ করে থাকি। কিন্তু যখন রসায়ন শিক্ষকও একই কথা বললেন-“আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রসায়নের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি”! তখন ভেবেছিলাম স্যাররা সকলেই আত্মপ্রীতিতে অভ্যস্ত। কিন্তু আমার ভুল ভেঙেছিল স্যারের পরের কথায়- শরীরের রক্তে অক্সি-হিমোগ্লবিনের মিশ্রণ, রক্তের অম্লতা-ক্ষারতা সংরক্ষু, কোষে প্রোটোপ্লাজম-সাইটোপ্লাজম এর উপাদান বিনিময় সবকিছুই রসায়নের নিয়মের অন্তর্ভুক্ত ! জীবাণুনাশক তৈরি, সুগন্ধি তৈরি, বিভিন্ন খাবারের মান সংরক্ষু ছাড়াও আরও অনেক কাজে রয়েছে রাসায়নিক দ্রবণের অত্যধিক ব্যবহার। একটু ভালভাবে চিন্তা করলেই দেখতে পাবে অসংখ্য রাসায়নিক দ্রবণ আমাদে... আরো পড়ুন
ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী... আরো পড়ুন ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী সম্পর্ক? আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে ব্ল্যাকহোলের কোন সম্পর্ক... আরো পড়ুন ব্ল্যাকহোল কী জিনিস? ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? ব্ল্যাকহোলের সাথে অভিকর্ষের কী সম্পর্ক? আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের সাথে ব্ল্যাকহোলের কোন সম্পর্ক আছে কি? ব্ল্যাকহোলকি টাইম ট্র্যাভেল ঘটাতে পারে? ওয়ার্মহোলের সাথে ব্ল্যাকহোলের সম্পর্ক কোন দিক দিয়ে? আলোর মতো এমন গতিমান জিনিস কিভাবে ব্ল্যাকহোলের গর্তে আটকা পড়ে? ব্ল্যাকহোল নিয়ে এমন আরো নানান কিছু জানতে ব্যাপনের ধারাবাহিক রচনা ‘ব্ল্যাকহোলের গভীরে’। স্বাগত তোমাদেরকে। আজকে চলো প্রাথমিক পরিচিতি সেরে নিই মহাকাশের মহাদানব এই ব্ল্যাকহোল তথা কৃষ্ণগহ্বরের সাথে। তোমার নিশ্চয়ই ক্রিকেট খেলার বা দেখার অভ্যাস আছে, তাই না? নিশ্চয়ই আছে ছক্কা মারারও অভ্যাস। অনেক সময় দেখা যায় ব্যাটসম্যানের বেধড়ক পিটুনি খেয়ে বেচারা বল অনেক উপরে উঠে যায়। কিন্তু অভিকর্ষ সম্পর্কে একটি জনপ্রিয় কথা প্রচলিত আছে- What goes up must come down। অর্থাৎ, উপরে যে উঠবে, নিচেও তাকে নামতেই হব... আরো পড়ুন
সবসময় এক গাদা ট্যাবলেট-ক্যাপসুল কার বাসায় না পাওয়া যায়! আর যদি কেউ অসুস্থ থাকে ত... আরো পড়ুন সবসময় এক গাদা ট্যাবলেট-ক্যাপসুল কার বাসায় না পাওয়া যায়! আর যদি কেউ অসুস্থ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। তখন তো ঔষুধ-পত্তরের ছড়াছড়ি অবস্থা। জ্বর হলে প্যারাসি... আরো পড়ুন সবসময় এক গাদা ট্যাবলেট-ক্যাপসুল কার বাসায় না পাওয়া যায়! আর যদি কেউ অসুস্থ থাকে তাহলে তো কথাই নেই। তখন তো ঔষুধ-পত্তরের ছড়াছড়ি অবস্থা। জ্বর হলে প্যারাসিটামল, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথায় ওমিপ্রাজোল এগুলোও কমবেশি সবার জানা। কিন্তু বন্ধুরা এ ঔষুধগুলো কিভাবে এলো সেটা তোমরা জানো কি? কিভাবে মানুষ জানল কোনটা কিসের ঔষধ; আর ঐ ঔষধটাই বা মানুষ পেল কোথায়? এবার একটা গল্প শোনো। কুইনিনের নাম শুনেছো নিশ্চয়ই তোমরা। এটি ম্যালেরিয়া সারানোর ঔষুধ। সেই প্রাচীনকাল থেকে এটি ম্যালেরিয়ার কার্যকর নিরাময় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কথিত আছে যে, সেকালে এক ভদ্রলোক তার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত স্ত্রীকে নিয়ে ভ্রমণকালে জঙ্গলের মধ্যে রাতে অবস্থান করছিলেন। তো রাতে পানি গরম করার সময় কিছু কুইনিনের বাকল পানিতে পড়ে যায়। তারপর সে পানি পান করে তার স্ত্রী সুস্থ বোধ করে। তখন ভদ্রলোক আরো কিছু কুইনিন-গরম পানি তার স্ত্রীকে খাইয়ে দেখলেন। লক্ষুীয় উন্নত... আরো পড়ুন