ব্লগ সমূহ
২০০৩ সালের আগস্ট মাসে বৃত্তাকার প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়। কিন্তু দেখা গেল এর ভেত... আরো পড়ুন ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে বৃত্তাকার প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়। কিন্তু দেখা গেল এর ভেতরের পানির কাক্সিক্ষত গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ফ্রেশ পানি ভেতর... আরো পড়ুন ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে বৃত্তাকার প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়। কিন্তু দেখা গেল এর ভেতরের পানির কাক্সিক্ষত গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত ফ্রেশ পানি ভেতরে চলাচল না করায় পানি ক্রমশ প্রাকৃতিক গুণ হারাচ্ছিল যা এখানকার সামুদ্রিক প্রাণীর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। যেখানে মানুষ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করছে পরিবেশ রক্ষার জন্য সেখানে এই অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ বিপর্যয় মেনে নেয়া যায় না। বিষয়টা আবার চিন্তিত করে পরিকল্পনাবিদদের। কিন্তু খুব সহজেই এর সমাধান বের হয়ে আসে। সেটা হলো- বৃত্তাকার বাউন্ডারির দুই পাশে চার স্প্যানের দুটি সেতু তৈরি করা। ফলে এই দুই সেতু দিয়ে পর্যাপ্ত ফ্রেশ ওয়াটার দ্বীপের ভেতরে যাতায়াত করতে পারবে এবং পানির কাক্সিক্ষত গুণ বজায় রাখতে পারবে। এতে দেখা গেলো পানির গুণাগুণ বজায় থাকার পাশাপাশি এটাকে সামুদ্রিক মাছেরা অভয়ারণ্য হিসেবে গন্য করে বিপুল পরিমাণে বাস করতে শুরু করেছে। দুবাই কর্তৃপক্ষ এটাকে... আরো পড়ুন
আমরা যখন কম্পিউটারকে কোন ড্যাটা ইনপুট দেই, তখন কম্পিউটার ড্যাটাকে প্রসেস করে আমা... আরো পড়ুন আমরা যখন কম্পিউটারকে কোন ড্যাটা ইনপুট দেই, তখন কম্পিউটার ড্যাটাকে প্রসেস করে আমাদেরকে আউটপুট প্রদান করে। প্রসেসের কাজটি করে দেয় CPU (Central Processin... আরো পড়ুন আমরা যখন কম্পিউটারকে কোন ড্যাটা ইনপুট দেই, তখন কম্পিউটার ড্যাটাকে প্রসেস করে আমাদেরকে আউটপুট প্রদান করে। প্রসেসের কাজটি করে দেয় CPU (Central Processing Unit)। কিন্তু আমাদের দেয়া ড্যাটা বা প্রোগ্রামগুলোকে তো কম্পিউটার তার কোথাও না কোথাও রেখে প্রসেস করবে তাই তো? আর এই ড্যাটা বা প্রোগ্রামগুলোকে কম্পিউটার তার যে স্থানে রেখে প্রসেস করে তাকেই সাধারণ ভাষায় বলা চলে কম্পিউটার মেমোরি। আমরা পড়ি আবার ভুলেও যাই। কিন্তু কম্পিউটার নির্বোধ হলেও সে কিন্তু আমাদের মতো ভুলে যায় না! অন্তত সেই দিক থেকে কম্পিউটার আমাদের চেয়ে অনেকটাই বুদ্ধিমান বলা যায়। আমরা কম্পিউটারকে যা কিছুই ইনপুট দেই না কেন, সে কিন্তু আমাদের দেয়া ড্যাটাগুলোকে ০, ১ এ রূপান্তরিত করেই তারপর প্রসেস করে। একটি কম্পিউটার তার মেমোরিতে কতটুকু ড্যাটা রাখতে পারবে তা নির্ভর করে তার বিট (নরঃ) সংখ্যার উপর।এই বিটগুলো ০ ও ১ এর সমন্বয়ে গঠিত। আরো পড়ুন
বিজ্ঞানের জাদুর ভুবনে স্বাগতম। ব্যাপন ম্যাজিকে থাকবে বাসায় করার উপযোগী মাধ্যমিক... আরো পড়ুন বিজ্ঞানের জাদুর ভুবনে স্বাগতম। ব্যাপন ম্যাজিকে থাকবে বাসায় করার উপযোগী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসের আওতাভুক্ত পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতের... আরো পড়ুন বিজ্ঞানের জাদুর ভুবনে স্বাগতম। ব্যাপন ম্যাজিকে থাকবে বাসায় করার উপযোগী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সিলেবাসের আওতাভুক্ত পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও গণিতের নানান মজার মজার ম্যাজিকাল এক্সপেরিমেন্ট। খুদে বিজ্ঞানী হতে চাও! তাহলে, ব্যাপন ম্যাজিকগুলো তোমার বাসায় ট্রাই কর। আর ম্যাজিক দেখিয়ে তাক লাগিয়ে দাও বন্ধুদের। Wi-Fi অগ্নিশিখা : Wi-Fi ইন্টারনেটের সাথে নিশ্চয়ই পরিচয় আছে তোমাদের। কোন প্রকার তারের সাহায্য ছাড়াই রাউটার থেকে ইন্টারনেট সিগন্যাল চারদিকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। Wi-Fi সমৃদ্ধ যেকোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সেই সিগন্যাল গ্রহণ করে ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত হয়। কিন্তু ডর-ঋর অগ্নিশিখার সাথে তোমাদের পরিচয় আছে কি? হ্যাঁ, লাইটারের কোনরকম স্পর্শ ছাড়াই দূর থেকে মোমবাতি জ্বালানো যায়। অর্থাৎ, স্পর্শ ছাড়াই আগুন লাইটার হতে বাতাসের মধ্যদিয়ে মোমবাতিতে চলে যাবে। চল, দেখে নিই মজার এই ম্যাজিকটি।যা লাগবে- একটি মোমবাতি, একটি... আরো পড়ুন
ফল্ট লাইনে তিন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তিনটি কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এই ধরনের ঘট... আরো পড়ুন ফল্ট লাইনে তিন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তিনটি কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এই ধরনের ঘটনাকে বিচ্যুতি বলে। তিনটি বিচ্যুতি হল অভিসারী বা এক কেন্দ্রাভিমুখী, রিভ... আরো পড়ুন ফল্ট লাইনে তিন ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তিনটি কারণেই ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এই ধরনের ঘটনাকে বিচ্যুতি বলে। তিনটি বিচ্যুতি হল অভিসারী বা এক কেন্দ্রাভিমুখী, রিভার্স বা অপসারী এবং ঘর্ষণ বা স্ট্রাইক স্লিপ বিচ্যুতি। ভূ-অভ্যন্তরের টেকটনিক প্লেটের মাঝে বিচ্যুতি ঘটলে হয় অভিসারী বিচ্যুতি, দুটো প্লেট সঙ্কুচিত হলে ঘটে রিভার্স তথা উল্টো বিচ্যুতি, আর পাশাপাশি সরে গেলে ঘটে স্ট্রাইক স্লিপ তথা ঘর্ষণ বিচ্যুতি। লক্ষ লক্ষ ভূমিকম্পের মধ্যে মাত্র ১% আমরা আমাদের নানান যন্ত্র ও টেকনোলজির মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারি। বেশির ভাগ ভূমিকম্প আমরা টেরই পাই না। এর কারণ কী হতে পারে? এর কারণ হলো মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন “আমি পাহাড়গুলোকে গেড়ে দিয়েছি পেরেকের মত” (সূরা নাবা:৭), তিনি আরো বলেন “আর আমরা পৃথিবীতে সৃষ্টি করে দিয়েছি পাহাড় পর্বত, যাতে করে পৃথিবী তাদেরকে নিয়ে এদিক সেদিক ঢলে না পরে” (সূরা আম্বিয়া:৩১)। এছাড়া তিনি... আরো পড়ুন
ছোটবেলায় দেখা আলিফ লায়লা কিংবা গল্পে পড়া সিন্দবাদের অভিযানে সিন্দবাদ হারিয়ে যায়... আরো পড়ুন ছোটবেলায় দেখা আলিফ লায়লা কিংবা গল্পে পড়া সিন্দবাদের অভিযানে সিন্দবাদ হারিয়ে যায় মাঝসমুদ্রে; সেখান থেকে কোন এক অজানা দ্বীপে। কোথায় আছে সে নিজেই জানে না... আরো পড়ুন ছোটবেলায় দেখা আলিফ লায়লা কিংবা গল্পে পড়া সিন্দবাদের অভিযানে সিন্দবাদ হারিয়ে যায় মাঝসমুদ্রে; সেখান থেকে কোন এক অজানা দ্বীপে। কোথায় আছে সে নিজেই জানে না। যদি এমন হত, তার হাতে একটা জাদুকরী যন্ত্র থাকত যেটা বলে দিত সে এখন কোথায় আছে! ধরো তুমি একজন পর্যটক, আমার মত বনে জঙ্গলে ঘুরতে পছন্দ করো। কয়েকজন বন্ধু আর ব্যাগপ্যাক পিঠে ঝুলিয়ে চলে গেলে জঙ্গলে, গভীর থেকে গভীর জঙ্গলে। আনন্দ উল্লাস করলে, নতুন কিছু আবিষ্কার করলে। কিন্তু ফেরার সময় বাধল বিপত্তি। ফেরার পথ আর খুঁজে পাচ্ছ না। পুরো একদিন পথ খোঁজার চেষ্টা করে দেখলে জঙ্গলের একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছ। কিভাবে ফেরত আসবে তোমার মায়ের কোলে! তখন মনে মনে কামনা করছ, কেউ একজন এসে হেল্প করুক, কেউ একজন পথ দেখাক। যদি তোমার হাতে এমন কিছু থাকত যা তোমাকে পথ দেখাত। হ্যাঁ, বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে সম্ভব একটা ছোট ডিভাইস তোমাকে পথ দেখিয়ে দিয়ে আসবে, ফিরিয়ে আনবে তোমাকে লো... আরো পড়ুন
উদ্ভিদে প্রাণের উপস্থিতি কে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন? ছেলেবেলায় আমরা সবাই হয়তো এম... আরো পড়ুন উদ্ভিদে প্রাণের উপস্থিতি কে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন? ছেলেবেলায় আমরা সবাই হয়তো এমন প্রশ্ন পড়েই প্রথম স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সম্বন্ধে জেনেছিলাম। কিংবা শু... আরো পড়ুন উদ্ভিদে প্রাণের উপস্থিতি কে সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন? ছেলেবেলায় আমরা সবাই হয়তো এমন প্রশ্ন পড়েই প্রথম স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সম্বন্ধে জেনেছিলাম। কিংবা শুনেছিলাম বেতার যন্ত্রের ধারণা ও তত্ত্ব তিনিই প্রথম প্রদান করেন পরে ইতালির বিজ্ঞানী মার্কোনি যাকে দূরপাল্লার ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে রেডিওকে জনপ্রিয় করে নিজেও জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। প্রথিতযশা এ বাঙালি বিজ্ঞানী সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই জানা-শুনা হয়তো এতটুকুতেই সীমাবদ্ধ। এছাড়াও বিজ্ঞান জগতে তাঁর যে আরও অসংখ্য অবদান রয়েছে সেগুলো হয়তো অজানাই রয়ে গেছে। স্বয়ং মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইন তাঁর সম্পর্কে নিজেই বলেছিলেন, “জগদীশচন্দ্র যেসব অমূল্য তথ্য পৃথিবীকে উপহার দিয়েছেন তার যে কোনটির জন্য বিজয়স্তম্ভ স্থাপন করা উচিত।” তিনি সমসাময়িক কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বিজ্ঞানীদের একজন। বাঙালিদের কাছে তিনি হয়তো নিউটন কিংবা আইনস্টাইনের চেয়ে কোনো অংশে কম নন। আরো পড়ুন
একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ... আরো পড়ুন একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখেই বোঝা যায়- আচ্ছা! এই দুই জন তাহলে ভ... আরো পড়ুন একই পরিবারের সদস্য বিশেষ করে ভাই-ভাই, পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ের মধ্যে অনেকগুলো সদৃশ বৈশিষ্ট্য চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখেই বোঝা যায়- আচ্ছা! এই দুই জন তাহলে ভাই-ভাই। কিন্তু দুইজন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য একই রকম হয় কেন? আবার আমরা দেখি কারো মাথায় কোঁকড়া চুল, আবার কারো মাথার চুলের রং সোনালি বা বাদামি। মানুষে মানুষে এই বৈশিষ্ট্যের পার্থক্যের পেছনে কে দায়ী? এক সময় এর উত্তর ছিল আমাদের বংশগতির ধারক বাহক ‘ক্রোমসোম’। পরে জানা গেল, মূলত ক্রোমসোমের মধ্যে ডিএনএ-ই আমাদের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে। অবশ্য, এখন আমরা জানি, ডিএনএ এর মধ্যে থাকা আলাদা আলাদা জিন আবার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। এই ডিএনএ এবং এর ডাবল হেলিক্স গঠন আবিষ্কারে অবদানের জন্যে প্রাপ্ত নোবেলই আমাদের এ সংখ্যার নোবেলের আলোচ্য বিষয়। আসলে, ব্যাপন বন্ধুদের রসায়ন আর পদার্থবিদ্যায় নোবেলের সাথে পরিচয় করে দেয়া হলেও বাদ পড়ে যাচ্ছিল ফিজিওলজি (Physiology) ব... আরো পড়ুন
অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের... আরো পড়ুন অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে পেটভর্তি করতে পারে। বিভিন্ন পাত্রের ঢাকনা... আরো পড়ুন অক্টোপাস অনেক সময় দুষ্টুমি করে জেলেদের নৌকা আটকে দেয়। এমনকি তারা কাঁকড়া ঝিনুকের খোলস ছাড়িয়ে তাদের মাংস খেয়ে পেটভর্তি করতে পারে। বিভিন্ন পাত্রের ঢাকনা খোলার ব্যবস্থাও এই প্রাণীটির জানা আছে। তোমরা যারা মাধ্যমিকে পড় তারা তো শ্রেণীবিন্যাসের কথা জানো। প্রাণিরাজ্যের অন্তর্গত মোলাস্কা পর্বের অক্টোপাস গনের প্রজাতিসমূহের সাধারণ নাম। এই গনের প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৩০০। এই প্রজাতিগুলির দেহের আয়তন ছোট বলের আকার থেকে বৃহদাকার তরমুজের মতে হয়ে থাকে। এদের মস্তিষ্ক বেশ সুগঠিত। দেহ থেকে আটটি সর্পিলাকার শুঁড় বের হয়েছে। এগুলোর সাহায্যে অক্টোপাস চলাচল, খাদ্যগ্রহণ, আত্মরক্ষা প্রভৃতি করে থাকে। প্রজাতিভেদে শুঁড়গুলো সাধারণত দৈর্ঘ্যে তিন থেকে দশ হাত পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা যায়। এগুলির নিচের দিকে দুই সারিতে অনেকগুলো গোলাকৃতির শোষক থাকে; শিকার ধরার প্রাথমিক পর্যায়ে শোষকগুলিকে শত্রুকে কাবু করার জন্য ব্যবহার করে। এরা মাংস... আরো পড়ুন
মাথার ভেতর থাকে ঘিলু। সেই ঘিলুকে অবিরত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করছে রক্তনালীরা।... আরো পড়ুন মাথার ভেতর থাকে ঘিলু। সেই ঘিলুকে অবিরত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করছে রক্তনালীরা। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যেমনি জালের মতো নদী বয়ে গেছে হিজিবিজি হয়ে। মাথার... আরো পড়ুন মাথার ভেতর থাকে ঘিলু। সেই ঘিলুকে অবিরত পুষ্টি ও অক্সিজেন সরবরাহ করছে রক্তনালীরা। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে যেমনি জালের মতো নদী বয়ে গেছে হিজিবিজি হয়ে। মাথার ঘিলুর ভেতরও রক্তনালীরা তৈরি করছে হিজিবিজি। মাথা লাফাচ্ছে প্রাণের উন্মাদনায়। এজন্যই তো কখনো আমরা কপাল চেপে বের করে আনছি কাব্য-সাহিত্য, কখনোবা ব্রিজ কিংবা অট্টালিকার ডিজাইন, কখনো ঔষুধের ফর্মুলা কখনো আবার বড় বড় হিসাবের সমাধান। বুঝতে পারছি ড্রয়িংরুমে বসে প্র¯্রাব-পায়খানা করা যাবে না, কর্মটা সারতে বাথরুম আছে। সামনে দেয়াল পড়লে মেনে নিচ্ছি- এখন হাঁটা বন্ধ, হাঁটলে ধাক্কা খেতে হবে। গাছকে গাছই বলছি, বইকে বলছি বই। দশ বছর পরও প্রিয় বন্ধুর চেহারা চিনে বলছি- তুই সেই ফটকা না? অনেক মোটা হয়ে গেছিস! আয় পাঞ্জা লড়ি। কাজের কথায় আসি। ধরা যাক, কোন কারণে ঘিলুর ভেতর থাকা রক্তনালীর প্রাচীর গেলো পুরু হয়ে। হতে পারে তা চর্বি জমে। তাহলে নালীগুলো সরু হবে। রক্ত প্রবাহিত হব... আরো পড়ুন
আজকে প্যারাডক্সের মাধ্যমে দুই বন্ধুর মেধার পরীক্ষা নেবো। তবে তার আগে অন্য একটি প... আরো পড়ুন আজকে প্যারাডক্সের মাধ্যমে দুই বন্ধুর মেধার পরীক্ষা নেবো। তবে তার আগে অন্য একটি প্যারাডক্স বলে নেই। একজন ছেলেধরা একটি বাচ্চা ছেলেকে কিডন্যাপ করলো। লোকট... আরো পড়ুন আজকে প্যারাডক্সের মাধ্যমে দুই বন্ধুর মেধার পরীক্ষা নেবো। তবে তার আগে অন্য একটি প্যারাডক্স বলে নেই। একজন ছেলেধরা একটি বাচ্চা ছেলেকে কিডন্যাপ করলো। লোকটা নিজেকে বেশ চালাক মনে করতো। বাচ্চাটির বাবা লোকটির সাথে যোগাযোগ করলে সে ছেলেটিকে ফিরে পেতে তার বাবাকে একটি শর্ত দিল। সে বললঃ আপনি যদি ঠিক ঠিক বলে দিতে পারেন, আমি আপনার ছেলেকে নিয়ে কী করবো- মেরে ফেলবো, নাকি ফিরিয়ে দেবো- তাহলে আমি ছেলেটিকে ফিরিয়ে দেবো। আর ঠিক অনুমান করতে না পারলে তাকে মেরে ফেলবো। বাচ্চাটির বাবাও চালাকিতে কম যান না। তিনি বললেন, তুমি ওকে মেরে ফেলবে। এবার ছেলেধরা লোকটি প্যারাডক্সে পড়ে গেল। কেন? একটু ভাবো, তারপর নিচে পড়ো। কিডন্যাপার যদি বলে, 'না আপনি ঠিক বলতে পারেননি, আমি ওকে মারবো না', তাহলে তাকে কথাটি মিথ্যা প্রমাণের জন্যে ছেলেকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আবার সে ছেলেটিকে মারতেও পারবে না। কারণ, মারলেই বাবার কথা সত্য হয়ে যাবে যার অর্থ দাঁড়... আরো পড়ুন
গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, ক... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, কিভাবে জন্ম নেয় এই দানবেরা। ব্ল্যাকহোল আবার আছে তিন রকমের- স্টেলার বা ন... আরো পড়ুন গত সংখ্যায় আমরা ব্ল্যাকহোলের সাথে প্রাথমিক পরিচিতি সেরেছিলাম। এবার আমরা দেখবো, কিভাবে জন্ম নেয় এই দানবেরা। ব্ল্যাকহোল আবার আছে তিন রকমের- স্টেলার বা নাক্ষত্রিক (Steller), Supermassive বা অতি ভারী ও খুবই ছোট্ট আকারের মাইক্রো বা মিনিয়েচার ব্ল্যাকহোল (Miniature Black Hole)। আজকে আমরা মূলত প্রথম ধরনের তথা স্টেলার ব্ল্যাকহোল নিয়েই জানবো। এদের জন্ম হয় একটি নক্ষত্রের জীবনের শেষের দিকে, যখন এর সবটুকু জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে যায়। এই ধরনের ব্ল্যাকহোল যেহেতু একটি নক্ষত্রের জীবনের অন্তিম দশা, তাই এর জন্মলাভের উপায় জানতে হলে নক্ষত্রের জীবনচক্র বুঝতে হবে। আমাদের তাহলে বুঝতে হবে একটি নক্ষত্রের জন্ম হয় কিভাবে। জন্মের পরে এর মধ্যে কী ঘটতে থাকে? কিভাবে এটি আলো, তাপ ও বিকিরণের মাধ্যমে এর শক্তির বহিঃপ্রকাশ করে হুঙ্কার ছাড়ে, কিভাবে এটি আস্তে আস্তে বার্ধক্যে উপনীত হয় এবং মারা যায়। আরো পড়ুন
প্রায় তিনশত মিটার উপরে শূন্যে ভাসমান একটি স্থানে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ব্যাপন... আরো পড়ুন প্রায় তিনশত মিটার উপরে শূন্যে ভাসমান একটি স্থানে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ব্যাপন পড়তে কেমন লাগতে পারে? আর যদি চা খেতে খেতে ডানদিকে দেখতে পাও মেঘ তোমায়... আরো পড়ুন প্রায় তিনশত মিটার উপরে শূন্যে ভাসমান একটি স্থানে বসে চায়ে চুমুক দিতে দিতে ব্যাপন পড়তে কেমন লাগতে পারে? আর যদি চা খেতে খেতে ডানদিকে দেখতে পাও মেঘ তোমায় ছুঁয়ে দিতে চাইছে, আর বামদিকে অথৈ সমুদ্রের বিশালতা তোমায় হাতছানি দিচ্ছে ! এমনাবস্থায় হঠাৎ ব্যাপন-এর ৩১তম পৃষ্ঠা এসে হাজির! ওকে এখন থেকে চারটি পৃষ্ঠা পড়ে নিলেই জানতে পারবে তুমি যেখানে বসে সেখানের রহস্যটা আসলে কী ! যদি তোমাকে বলা হয়, এক রাত কোন হোটেলের একটি স্যুটে কাটাতে ২৮ হাজার ডলার মানে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করা লাগতে পারে, তুমি কি বিশ্বাস করবে? পাগল! প্রশ্নই আসে না। কিন্তু যদি বলা হয় হোটেলটা সমুদ্রের মাঝে, তাহলে? না, না, সমুদ্রের কোন দ্বীপের মধ্যে নয় বরং একেবারে নিরেট সমুদ্রের পানির মধ্যে কোন হোটেলে। যার ছাদ থেকে লাফ দিলে একেবারে নীল সমুদ্রে গিয়ে পড়বে [কিন্তু খবরদার ভুলেও লাফ দেয়ার চিন্তা করো না, কারণ ৫৬ তলা কোন ভবন থেকে লাফ দেয়া... আরো পড়ুন
প্রোগ্রামিং শেখাটা যেমন মজার তেমনি প্রয়োজন লেগে থাকার মতো ধৈর্য ও মন-মানসিকতা। ত... আরো পড়ুন প্রোগ্রামিং শেখাটা যেমন মজার তেমনি প্রয়োজন লেগে থাকার মতো ধৈর্য ও মন-মানসিকতা। তুমি যে কোন প্রোগ্রাম নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টায় রত থাকবে যতক্ষণ না তু... আরো পড়ুন প্রোগ্রামিং শেখাটা যেমন মজার তেমনি প্রয়োজন লেগে থাকার মতো ধৈর্য ও মন-মানসিকতা। তুমি যে কোন প্রোগ্রাম নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টায় রত থাকবে যতক্ষণ না তুমি তোমার কাক্সিক্ষত ফলাফল পাবে। আসলে প্রোগ্রামিং শেখার সাথে সাধারণ পড়ালেখার অনেক পার্থক্য আছে। প্রোগ্রামিংটা আসলে চর্চার বিষয়। সেজন্য তোমাকে বুঝতে হবে প্রোগ্রামিং এর প্রতিটি শব্দ ও প্রতিটি বাক্য এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে কি/কেন বলে। যদি সকল কি/কেন এর উত্তর তুমি পেয়ে যাও তখন তুমি সামনের দিকে এগোতে থাক। অনুশীলন করতে থাক কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রতিটি প্রোগ্রাম। আর পরিবর্তন করে কম্পিউটারে করতে থাক প্রোগ্রামগুলো। দেখ আউটপুটে কোথায় কী পরিবর্তন হচ্ছে। সাবধান!! না বুঝে কিন্তু সামনে এক পৃষ্ঠাও এগোবে না। আরো পড়ুন
“সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ এর লম্ব ও ভূমির বর্গের সমষ্টির সমান”।খুবই পরিচিত... আরো পড়ুন “সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ এর লম্ব ও ভূমির বর্গের সমষ্টির সমান”।খুবই পরিচিত লাগছে, তাই না? হ্যাঁ, এটাই পিথাগোরাসের উপপাদ্য। তবে এটা কিন্তু পিথাগো... আরো পড়ুন “সমকোণী ত্রিভুজের অতিভুজের বর্গ এর লম্ব ও ভূমির বর্গের সমষ্টির সমান”।খুবই পরিচিত লাগছে, তাই না? হ্যাঁ, এটাই পিথাগোরাসের উপপাদ্য। তবে এটা কিন্তু পিথাগোরাসের উদ্ভাবন নয়। তিনি প্রথম এর একটি গ্রহণযোগ্য প্রমাণ দিয়েছিলেন মাত্র। এই বিখ্যাত উপপাদ্যটি গ্রিকরা ছাড়াও ব্যাবিলনীয়রাও জানতো। এছাড়াও মেসোপটোমীয়, ভারতীয় ও চীনা গণিতবিদগণও এই সূত্র এবং এর প্রমাণ করার উপায় জানতেন। আর এদের এই জানার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। এ থেকেই এই সূত্রটির গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় এবং বোঝা যায় কিভাবে এটি প্রাচীনকাল থেকেই সব অঞ্চলের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। পিথাগোরাসের উপপাদ্যের ইতিহাসটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমটি হচ্ছে “পিথাগোরিয়ান ত্রয়ী” এর জ্ঞান এবং অন্যটি হচ্ছে “সমকোণী ত্রিভুজের সমকোণ এবং সমকোণ সংলগ্ন বাহুদ্বয়ের মধ্যে সম্পর্ক” স্থাপন। প্রাচীন প্রস্তর খন্ড থেকে জানা যায়, পিথাগোরাসের জন্মের প্রায় ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বে... আরো পড়ুন
চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে... আরো পড়ুন চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে না ডেভিলা। কোন ইকুয়েশনও মিলছে না। সকাল ১০.৪৭ থেকে ১০.৫২ এর মধ্যে পর পর... আরো পড়ুন চোখে মুখে বিস্ময় ও আতংকের ছাপ। এটা কিভাবে সম্ভব ? ভেবে কোন কূলকিনারা করতে পারছে না ডেভিলা। কোন ইকুয়েশনও মিলছে না। সকাল ১০.৪৭ থেকে ১০.৫২ এর মধ্যে পর পর ৩ বার ৮ সেকেন্ডের জন্য ইক্লোসারের সমস্ত ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইক্লোসা একটি মহাকাশ স্টেশন। শনি ও ইউরেনাসের মাঝখানে সুতাবিহীন ববের মত ঝুলে আছে এটি এবং একটি উপগ্রহের মত শনিকে প্রদক্ষিণ করে চলছে। ষষ্ঠ বিংশ শতাব্দীতে সবচেয়ে উন্নত ও শক্তিশালী মহাকাশ স্টেশন ছিল ইক্লোসা। যদিও বর্তমানে এটি চতুর্থ মাত্রার মাঝারী মানের মহাকাশ স্টেশন। সম্ভাব্যতার মাপকাঠিতে ইক্লোসারে সমস্ত ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাওয়া একেবারেই অসম্ভব। মহাকাশ স্টেশনে সর্বশেষ একবার ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটেছে, ৩০৫৯ সালে, এখন থেকে ১২ বছর আগে। তখন ডেভিলাইক্লোসা স্কুলে জুনিওর ক্যাডার হিসেবে ভর্তি হয়েছে মাত্র। তখন কিছু রোবটের বিশৃংখলা সৃষ্টির কারনে নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টরে... আরো পড়ুন